• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ওয়ান্টেড রতন-লুটেছে ৪০০০ কোটি


প্রকাশিত: ৬:২৩ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২২ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৬ বার

শফিক রহমান : সর্বশেষ ন্যাশনাল ব্যাংকের ১১৮ কোটি টাকা মেরে দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন চট্টগ্রাম ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নুরজাহান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমদ রতন। সবমিলিয়ে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আর শোধ না করে বিদেশে পালানোর পথ খুঁজছেন। তাকে পাকড়াও করতে পাসপোর্ট জব্দ ও তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। চট্টগ্রামে ন্যাশনাল ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করার দায়ে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দিয়েছেন। জহির আহমেদ রতন ছাড়াও ওয়ান্টেড রয়েছেন তার বাবা আলহাজ আবদুল খালেক ও তার মা নুরজাহান বেগম।

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশের কপি এবং আগের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কপি অতিরিক্ত আইজিপি (বিশেষ শাখা), অফিসার ইনচার্জ (বিশেষ শাখা), শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণখেলাপের দায়ে বিভিন্ন সময় আলোচনায় আসা জহির আহমদ রতন ১১৮ কোটি ৫০ লাখ ৫১ হাজার ৮৮৩ টাকা ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। সবমিলিয়ে তিনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আর শোধ করছেন না।

অভিযোগ করা হয়েছে, ঋণের বিপুল টাকা তিনি কানাডায় পাচার করেছেন। তার স্ত্রী ও সন্তানও ইতিমধ্যে কানাডায় পাড়ি দিয়েছে।
নুরজাহান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির আহমদ রতনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা কমপক্ষে ১৫টি মামলা রয়েছে। আদালত এর আগেও ২০২১ সালের ৮ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

মামলার আদেশে আদালত জানান, ন্যাশনাল ব্যাংকের করা মামলার আসামি জহির আহমেদ রতন দেশের একজন শীর্ষ ঋণখেলাপি। এই জারি মামলাসহ অন্যান্য মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও ব্যাংকের দেনা পরিশোধ করেনি নূরজাহান গ্রুপ।আদালত আরও জানান, স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বর্তমানে কানাডায় বসবাস করেন। এমডি গ্রেপ্তার এড়াতে বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন। তিনি যদি দেশ ত্যাগ করতে পারেন, তাহলে একাধিক ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

আদালত আরও জানায়, আসামির গৃহীত ঋণের বিপরীতে কোনো স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক না থাকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর তিন মাস অতিবাহিত হলেও ব্যাংকের কোনো টাকা পরিশোধ না করে তিনি পলাতক রয়েছেন। আদালতের জুডিশিয়াল রেকর্ড অনুযায়ী, জহির আহমেদের বিরুদ্ধে তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দাবিকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ চার হাজার কোটি টাকার বেশি। কোনো মামলায় টাকা পরিশোধের সদিচ্ছার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।