• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসির নির্বাচনী রোডম্যাপ নির্মাণে সুশীল সমাজের সংলাপ শুরু


প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ৩১ জুলাই ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২১ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  একা

দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু আর গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে সুশীল সমাজের সংলাপ শুরু হয়েছে। সংলাপে নির্বাচনী রোডম্যাপ নির্ধা

রন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠরা। রোডম্যাপর বিভিন্ন পরামর্শ জানতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সুশীল সমাজের সংলাপ শুরু হয়েছে আজ। সংলাপে নির্বাচনী রোডম্যাপের ৭টি বিষয় নিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের বিভিন্ন পরামর্শ নেবে ইসি।

যে সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হোক না কেন, ইসির সঙ্গে সংলাপই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে আশা করছেন বর্তমান আর সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা। আর সব দলকে নির্বাচনে আনতে ইসি আয়োজিত সংলাপকেই নির্বাচনী নিশ্চয়তা আর নিরপেক্ষতা প্রমাণের একমাত্র ভরসা হিসেবে দেখছেন সাধারণ মানুষ।

সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের এই আশা এবং সাধারণ মানুষের এই ভরসা পূরণের লক্ষ্যে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সব ধরণের অনিশ্চয়তা দুর করতে নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজসহ অনেকের সঙ্গে সংলাপে বসেছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান জানান, সংলাপে কমিশন প্রণীত নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ উপস্থাপন করে এ বিষয়ে নির্বাচন বিশষজ্ঞ, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, পর্যবেক্ষক, নারী নেত্রীসহ প্রধান অংশীজনদের মতামত নেয়া হবে। তাদের পরামর্শ ও মতামতের উপর ভিত্তি করে কমিশন তার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপের আলোকেই সংলাপের এজেন্ডা বা কার্যপত্র তৈরি করা হয়েছে। সংলাপে নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা সংশোধন, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ আইন যুগোপযোগী করা, নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নে পরামর্শ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন সংক্রান্ত কার্যক্রম যুগোপযোগী করা বিষয়ে পরামর্শ, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নিরীক্ষা সংক্রান্ত প্রস্তাবনাসহ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয় মতামত গ্রহণ সংলাপের এজেন্ডায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এস এম আসাদুজ্জামান জানান, সংলাপে অংশগ্রহণের জন্য সুশীল সমাজের ৫৯জন প্রতিনিধিকে ইসির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সংলাপে যাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এদের মধ্যে রয়েছেন- তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান, এম হাফিজ উদ্দিন খান, এডভোকেট সুলতানা কামাল, আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, বেগম রাশেদা কে চৌধুরী, মির্জা আজিজুল ইসলাম, বেগম রোকেয়া এ রহমান, ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বিচারপতি গোলাম রব্বানী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ড. শাহদীন মালিক, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক সচিব ড. সা’দত হোসেন, সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, মেজর (অব.) এসএম শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. অজয় রায়, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, আসিফ নজরুল, অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অধ্যাপক আবুল বারাকাত, তারেক শামসুর রেহমান, সাংবাদিক কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

 

22

 

ইসি বলছে, নির্বাচনী রোডম্যাপে কোন খানাখন্দ থাকলে সংলাপ তা পূরণ করে আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে। এছাড়া ইসির সংলাপ শুধু নাগরিক সমাজেই গুরুত্বপূর্ণ নয় সাধারণ মানুষের কাছেও সমান গুরুত্ব রাখছে। এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে কোন রোডম্যাপ কিংবা সংলাপ আযোজন না হলেও ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচনী সংলাপের আয়োজন করেছিল তৎকালীন হুদা কমিশন।

প্রশাসন আর আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে জবাবদিহিতায় আনতে পারলে এবারের সংলাপও আগামী নির্বাচনের একমাত্র শক্তি হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার।তাই আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু আর স্বচ্ছ করতে নির্বাচনী রোডম্যাপই জনগণের কাছে ইসির দায়বদ্ধতার দলিল বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।