ইন্সপেক্টর কে ধর্ষণ করল পিবিআই এসপি মোকতার
বিশেষ প্রতিনিধি/কোর্ট রিপোর্টার : পুলিশের এক নারী ইন্সপেক্টর কে ধর্ষণ করল
পিবিআই এর এসপি মোকতার। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে পুলিশ প্রশাসনে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভস্টিগেশন (পিবিআই) এ কর্মরত এসপি মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে করেছেন পুলিশের এক পরিদর্শক। আজ বৃহস্পতিবার ১২ আগস্ট ঢাকার সাত নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই পুলিশ সদস্য আদালতে হাজির হয়ে বাদী হয়ে এ মামলা করেন। বিচারক শামসুন্নাহার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে উত্তরা পূর্ব থানাকে বাদীর আদালতে দাখিলকৃত আরজি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে বলেছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সরেজমিনে মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন। বাদী আগে থেকেই সেখানে কর্মরত থাকায় মিশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় বিভিন্ন অজুহাতে সহযোগিতার নামে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদীর বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। বাদী চাবি ইউনিফর্মের পকেট থেকে আনতে গেলে আসামি পেছন থেকে তাকে জাপ্টে ধরে ধর্ষণ করেন। এরপর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি হুমকি-ধামকি দেন। ২২ ডিসেম্বর ক্ষমা চেয়ে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মৌখিকভাবে বিয়ে করে বাদীকে আবারও ধর্ষণ করেন। এরপরও আরও কয়েকদফা বাদী ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন। নিকাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে বাদীকে গ্রহণ করার তাগিদ দিলে মোক্তার হোসেন তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। বাদীকে এড়িয়ে যেতে থাকেন। এর অবস্থায় গত ২১ এপ্রিল বাদী মোক্তার হোসেনের রাজারবাগ বাসায় গিয়ে আশ্বান অনুযায়ী বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন করার তাগিদ দেয়। এতে মোক্তার হোসেন অস্বীকৃতি জানান।
মোক্তার হোসেন, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে বাদীকে মারধর করেন এবং হুমকি ধামকি দেন। করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান বাদী। গত ১০ আগস্ট বাদী উত্তরাপূর্ব থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলার করার জন্য বলেন। এজন্য আদালতে এসে মামলা দায়ের করলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন বাদী।