• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আপন জুয়েলার্সে অবৈধ স্বর্ণ- ডায়মন্ড খুঁজছে শুল্ক গোয়েন্দারা


প্রকাশিত: ৩:২৪ পিএম, ১৪ মে ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩১ বার



বিশেষ প্রতিনিধি : আপন জুয়েলার্সের অবৈধ স্বর্ণ-ডায়মন্ড উৎস খুঁজছে শুল্ক গোয়েন্দারা। এদিকে আপন apon jewellers-www.jatirkhantha.com.bdজুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় অভিযান চলাকালে আকস্মিকভাবে সুবাস্তু টাওয়ার শাখা বন্ধ করায় শুল্ক গোয়েন্দারা সেটি সিলগালা করে দিয়েছে।

গোয়েন্দারা বলেছেন, অসদুপায়ে অর্জিত টাকার অনুসন্ধানে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি শাখায় অভিযান পরিচালনা করছে বাংলাদেশের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। আজ রোববার সকাল থেকে এই অভিযান শুরু করা হয়।aaa

এসময় হঠাৎ করে আপন জুয়েলার্সের সুবাস্তু টাওয়ার শাখা বন্ধ করায় সেটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে এই শাখায় শুল্ক ফাঁকি সংক্রান্ত জুয়েলারী ও বিভিন্ন ধরনের শুল্কযোগ্য ডায়মন্ড থাকতে পারে।

ঢাকা গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারে থাকা ওই জুয়েলার্সের শাখা সিলগালা করার পরও উত্তরা, মৌচাক ও সীমান্ত স্কয়ারে থাকা ওই জুয়েলার্সের অন্যান্য দোকানেও অভিযান চলছিল।

apon.subastu-www.jatirkhantha.com.bdশুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের যুগ্ম কমিশনার শাফিউর রহমান জানান, আপন জুয়েলার্সের নথিপত্রের সঙ্গে তাদের দোকানে থাকা স্বর্ণের পরিমাণ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারের আপন জুয়েলার্সের শাখায় অভিযানে যাওয়ার পর দোকানটি বন্ধ থাকায় সেটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে, বহুল আলোচিত ধর্ষণের ঘটনা চাপা দিতে বিপুল অর্থ খরচের চেষ্টা হয়েছে। এই অর্থের উৎস ‘ডার্টি মানি’ কি না এবং তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ‘অস্বচ্ছ’ কি না- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ওই অভিযানে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ ভ্যাটের কর্মকর্তারা ও র‌্যাবের কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে আপন জুয়েলার্সের আর্থিক লেনদেনের যাবতীয় তথ্য তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

এক বিবৃতিতে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, বনানীতে সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ ও তার ছেলে শাফাত আহমেদের ‘কালো টাকা’র তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পর শুল্ক গোয়েন্দার পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজকের অভিযানে স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের বৈধ উৎস ও পরিশোধেযোগ্য শুল্ক-করাদি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিচ্ছে শুল্ক গোয়েন্দারা।

গত ৫ বছরে দেশে কোনো বৈধ বাণিজ্যিক আমদানি না থাকায় প্রাথমিকভাবে আপন জুয়েলার্সের স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের ব্যবসায় ‘অস্বচ্ছতা’ দেখছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।

প্রসঙ্গত, বনানীতে রেইন ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তাদের মধ্যে একজন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত আহমেদ।