• বুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪

৫ লাখ পাইলট ৬ লাখ বিমানকর্মীর চাহিদা মেটাবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়!


প্রকাশিত: ৭:০০ পিএম, ২৭ মার্চ ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭১ বার

Bangobandu aviation-university-www.jatirkhantha.com.bdA view of a flooded roundabout is seen after heavy overnight rains brought flooding to parts of the city, paralysing traffic, in Jakarta
বিশেষ প্রতিনিধি  :   অবশেষে বিশ্বমানের এভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস  বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস  বিশ্ববিদ্যালয় নামে এর কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হচ্ছে বলে  জানিয়েছেন  বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। এই বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ২০ বছরে বিশ্বব্যাপাী পাইলটের চাহিদা ৫ লাখ ৫৮ হাজার এবং ইঞ্জিনিয়ারসহ বিমানকর্মীর চাহিদা ৬ লাখ ৫ হাজার মেটাতে সক্ষম হবে।

এ উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন, এর অবকাঠামো নির্মাণ এবং সিলেবাস প্রণয়ন সংক্রান্ত এক সভা সোমবার বিকেলে মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

সভায় বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, বিবিপি, এনডিসি, এসিএসসি, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের  চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী, বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স এর এমডি মোসাদ্দেক আহমেদসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও স্টেক হোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, অ্যাভিয়েশনের ক্ষেত্রে উচ্চমানের শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে সামরিক এবং বেসামরিক মানবসম্পদ  উন্নয়নসহ জ্ঞানভিত্তিক কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমাজ গঠন। এবং ২০২৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ার একটি নেতৃস্থানীয় ইউনিভার্সিটি হিসেবে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিয়েশন ও অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার-সংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। রাজধানীর আশকোনায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশন ১২ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে।

সভায় বলা হয়, বিশ্বব্যাপী আগামী ২০ বছরে পাইলটের চাহিদা ৫ লাখ ৫৮ হাজার এবং ইঞ্জিনিয়ারসহ বিমানকর্মীর চাহিদা ৬ লাখ ৫ হাজার রয়েছে বিধায় অ্যাভিয়েশনের ক্ষেত্রে দক্ষ জনবল তৈরি করে বিদেশে প্রেরণের মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে জাতীয় অর্থনীতিতে বলিষ্ঠ অবদান রাখা সম্ভব।

শুরুতে তিনটি ফ্যাকাল্টিতে মোট ১০টি ডিপার্টমেন্ট থাকবে এবং ডিপার্টমেন্টগুলোর আন্ডার গ্র্যাজুয়েট এবং গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। অ্যাভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে শুরুতেই লন্ডনের মিডল সেক্স ইউনিভার্সিটি এবং সিটি ইউনিভার্সিটি, জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং জ্যাকসন ভিল ইউনিভার্সিটি ইউএসএ এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি তুন্ হোসেন ওন্ এর সাথে এডুকেশন এক্সচেঞ্জ ও ক্রেডিট ট্রান্সফার এর ব্যবস্থা থাকবে।

রাশেদ খান মেনন বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার তাগিদ দিয়ে মন্ত্রণালয় হতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিমানবাহিনী প্রধান জানান, বিমানবাহিনীতে পিএইচডি, এমফিল এবং এমএস করা প্রচুর সংখ্যক বিদেশে প্রশিক্ষিত যোগ্য কর্মকর্তা রয়েছে এবং অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্মকর্তাই অ্যাভিয়েশন ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছে। তাদের সহযেগিতায় আগামী ৩ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করা সম্ভব হবে।