• শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

৩২ ধারার গোমর ফাঁস করলো মন্ত্রী!


প্রকাশিত: ৯:৩৫ পিএম, ৩০ জানুয়ারী ১৮ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৭ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  অবশেষে ৩২ ধারার গোমর ফাঁস করলো মন্ত্রী!মন্ত্রী বললেন-গণমাধ্যমকর্মীদের গোপনে চিত্র ধারণের কাজটি সঠিক নয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ????????????????????????????????বিষয়ে বলতে গিয়ে মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ মন্তব্য করেন।গোপনে যদি কোনো দুর্নীতির ভিডিও ফুটেজ ধারণ করা হয় তাহলে এটা কি গুপ্তচবৃত্তি হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনারা গোপনে ভিডিও করবেন কেন? এ কথার পরপরই সাংবাদিকদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সাংবাদিকরা বলতে থাকে কোনো দুর্নীতির ভিডিও কি প্রকাশ্যে ধারণ করা সম্ভব?

মন্ত্রী বলেন, আপনারা যেভাবে লেখেন সেটাও তো ঠিক নয়। একজন এমপি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তার একটা সম্মান আছে। তার বিরোধীরা অনেক সময় কিছু তথ্য দেয় আর সেটা আপনারা পত্র পত্রিকায় যেভাবে লেখেন ‘দিস ইস নট কারেক্ট’।সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার নিজ কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।

এর ফলে আইসিটি অ্যাক্টের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬ ধারা বিলুপ্ত হবে। তবে ওইসব ধারার কোনোটার সাজা কমিয়ে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘বাড়িয়ে’ তা নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৮, ২৯, ৩০, ৩১ ও ৩২ ধারায় রাখা হয়েছে।নতুন এ আইনের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সরকারি, আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কেউ কোনো কিছু রেকর্ড করলে, তা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ হবে।

এর জন্য ১৪ বছরের জেল এবং ২৫ লাখ টাকা জরিমানা  বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কেউ যদি এই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার করেন তাকে যাবজ্জীবন বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড ভোগ করতে হবে।বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি হেসে বলেন, ‘৩২ নম্বর ধারা দিয়েও সাংবাদিকদের থামানো যাবে না।…আইন করেও আপনাদের থামাতে পারব বলে মনে হয় না।’

তিনি বলেন, আপনারা (সাংবাদিকরা) গণমাধ্যমে যেভাবে বিভিন্ন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেন, তাতে তাদের মান-ইজ্জত থাকে না। তাদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়।বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ আইন চিন্তা ভাবনা করেই করা হয়েছে। অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে এ আইন করা হয়েছে। আগের আইসিটি অ্যাক্টটি বিএনপির সময়ে করা ছিল। যেখানে অনেক বিষয় অস্পষ্ট ছিল। নতুন আইনে বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট করা হয়েছে।