• মঙ্গলবার , ২৩ এপ্রিল ২০২৪

২১ সালে বিপিও সেক্টরে আসবে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার


প্রকাশিত: ৬:৫৬ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৪ বার

bpo-www.jatirkhantha.com.bdবিশেষ প্রতিবেদক:   আজ বুধবার রাজধানীতে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আউটসোর্সিং নিয়ে দুই দিনের বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আউটসোর্সিং নিয়ে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সম্মেলন শুরু হয়েছে রাজধানীর প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে। দুদিনের এই সম্মেলন চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আজ বুধবার সকালে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশন (বাক্য) এ সম্মেলনের আয়োজক।

আয়োজকেরা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বিপিও সেক্টর থেকে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা, দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশি বিপিও সেক্টর সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, বাংলাদেশে বিপিও সেক্টরে সাফল্যের গল্পগুলো বিশ্ববাসীকে জানানো এবং দেশের তরুণ সমাজের কাছে এই সেক্টরকে কাজের ক্ষেত্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। ২০০৯ সালে দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের আয় ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার। ৬ বছরের মধ্যে এই খাতে আয় ৩০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য নিয়ে এখন কাজ চলছে।

জয় আরও বলেন, বর্তমানে বিপিও সেক্টরে ২৫ হাজার লোক কাজ করছে। ২০২১ সালের মধ্যে এই খাতে ২ লাখ লোক কাজ করবে। বিপিও খাতে আয় যত বাড়বে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ততই এগিয়ে যাবে। তরুণদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিয়ে তথ্য-প্রযুক্তির বিভিন্ন খাতে কাজে লাগাতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) এর সভাপতি সান্তিয়াগো গুতিয়ারেজ বলেন, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে অনেক ভালো করছে। বাংলাদেশের বিপিও খাতসহ তথ্যপ্রযুক্তির সার্বিক বিকাশে উইটসা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে।
গুতিয়ারেজ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২১ সালে উইটসার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে।

আইসিটি ব্যবসা এখানে খুবই গতিশীল। সরকারও এই খাত নিয়ে উত্সাহী। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি জগতে নেতৃস্থানীয় জায়গায় যাবে। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে পর্যাপ্ত অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। বিশেষ করে কানেক্টিভিটিতে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিষয়টির আরও উন্নতি করতে হবে।সভাপতির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আগামী বছরের মধ্যে কয়েক হাজার প্রোগ্রামার তৈরি করা হবে। আউটসোর্সিংয়ের মতো কাজে এ দেশের তরুণদের সুযোগ করে দিয়ে আমরা তাঁদের মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে চাই।’

সম্মেলনের প্রথম দিনে আজ অনুষ্ঠিত হয় ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল অ্যান্ড অপারেশনাল রেডিনেস, এন্টারপ্রেইনারশিপ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বিপিও ইন্ডাস্ট্রি, কানেক্টিং স্টার্টআপস বাংলাদেশ: নারচারিং দ্য ফিউচার, ফিউচার চ্যালেঞ্জেস অব আইসিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যাফরমেশন অব বিপিও ইন্ডাস্ট্রি, দ্য অপরচুনিটিজ অফ আউটসোর্সিং ক্লায়েন্ট সার্ভিসেস ফ্রম আইটি পার্সপেক্টিভ শীর্ষক সেমিনার।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে কাল অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ইয়ুথ টু ড্রাইভ বিপিও ইন্ডাস্ট্রি, গ্লোবাল বিপিও ইন্ডাস্ট্রি বেস্ট প্রাক্টিসেস, দ্য অপরচুনিটিজ ইন দ্য ডোমেস্টিক মার্কেট ফর আউটসোর্সিং, অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস ইন ব্যাংকিং আউটসোর্সিং, রোল অব হায়ার এডুকেশন ইনস্টিটিউশন ফর বিপিও ইন্ডাস্ট্রি এবং কানেক্টিং উইথ আনট্যাপড স্কিলস: পলিটেকটিক, ভোকেশনাল অ্যান্ড টেকনিক্যাল শীর্ষক সেমিনার।