• বুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪

সিনহা ষড়যন্ত্র করতে চিঠি লিখেছে:আ’লীগ


প্রকাশিত: ১:২০ পিএম, ১৪ অক্টোবর ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪০ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  সিনহা ষড়যন্ত্র করতে চিঠি লিখেছে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ নেতারা। তাঁ রা বলছেন, প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা surendro-new case-www.jatirkhantha.com.bdঅস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে যাত্রার আগে গণমাধ্যমকে যে লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন তাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ। দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

ssআওয়ামী লীগের অন্যতম সিনিয়র নেতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, একজন মানুষ ছুটি নিতেই পারে।

এখন যেটা হচ্ছে সেটাকে ষড়যন্ত্রের বাইরে কিছু বলা যায় না।

তিনি কেনইবা ছুটি নিলেন; আবার কেন এমন বক্তব্য দিলেন! আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

অতীতেও হয়েছে। সকল ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ এগিয়ে যাবে।
Abdur Razzak_www.jatirkhantha.com.bdআওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়েছেন। রাষ্ট্রপতির কাছে লেখা চিঠিতে তিনি বলেছেন অসুস্থ। অথচ এখন বলছেন অসুস্থ নন। এটাকে কী বলবো? তিনি চলে যাওয়ার আগে কেন চিঠি দিয়ে গেলেন। আগে কথা বলতে পারতেন। তিনি বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাইছেন।

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে যাত্রার আগে গণমাধ্যমকে দেয়া বিবৃতিতে বলেছেন: তিনি অসুস্থ নন, সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। চাপে নয়, ছুটি কাটাতে স্বেচ্ছায় বিদেশে যাচ্ছেন। বিমানবন্দরের পথে গাড়িতে ওঠার আগে বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি জানান, তিনি লিখিত বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন।

লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন: আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি, কিন্তু ইদানিং একটা রায় নিয়ে রাজনৈতিক মহল, আইনজীবী ও বিশেষভাবে সরকারের মাননীয় কয়েকজন মন্ত্রী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে সমালোচনা করেছেন, এতে আমি সত্যিই বিব্রত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকারের একটা মহল আমার বিষয়কে ভুল ব্যখ্যা প্রদান করে পরিবেশন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি অভিমান করেছেন যা অচিরেই দূরীভূত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি বলেন,  বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আমি একটু শঙ্কিত বটে। কারণ গতকাল প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে উদ্ধৃত করে মাননীয় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন,  অচিরেই সুপ্রীম কোর্টের প্রশাসনের পরিবর্তন আনবেন। প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এসব করার রেওয়াজ নেই। তিনি শুধুমাত্র রুটিন মাফিক দৈনন্দিন কাজ করবেন। এটিই হয়ে আসছে।