• শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নিজের গ্যাড়াকলে ধরা-মান্না


প্রকাশিত: ৩:২১ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৫ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৬ বার

manna-www.jatirkhantha.com.bdশফিক আজিজ.ঢাকা:

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ ‘আটক’ করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। তবে পুলিশ তা অস্বীকার করেছে।

সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে নিজের  গ্যাড়াকলে ধরা খেয়েছেন নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না। নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে মান্না সরকারের বিরুদ্ধে লড়ার নানা সংকেত দিয়েছেন।মান্না নিজে যা বলেছেন তাতে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নানা তথ্য মিলে।

মান্না বলেন.
সাদেক হোসেন খোকার সঙ্গে কথা হয়েছে আলাপচারিতার মতো আন্দোলনের প্রসঙ্গ এসেছে আমি বলেছি, গণতন্ত্রের দাবিতে আমি আন্দোলনে সমর্থন করি। সহিংসতা সমর্থন করিনা। এ থেকে বেড়িয়ে আসার জন্যে ব্যাপক জনগণকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করা উচিত। সহিংসতা দায়িত্ব নিয়ে বর্জন করা উচিত। এ আন্দোলনে এখনও ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত ও বিস্তৃত করতে হবে। এটা করতে গিয়ে যদি পুলিশি বা সন্ত্রাসী হামলায় দু’চার জনের জীবনও যায় কিছু করার নেই। এমনিতেই তো মানুষ মরছে। আমার এই বক্তব্যকে বিকৃতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেন আমি লাশ চাই। একইভাবে সেনাবাহিনীর কোনো কোনো কর্মকর্তা আমার সাথে কথা বলতে আগ্রহী হলে বলব কি না সে কথা জানতে চাইলে, আমি বলেছি রাজি আছি। আমি রাজনীতি করি সবার সঙ্গে কথা বলতে হয়। এটা থেকে এক এগারো বা সামরিক কু’য়ের ষড়যন্ত্রের আবিষ্কার হয় কিভাবে? যেখানে এরকম কোনো বৈঠকই হয়নি-মান্নার এই কথা প্রমাণ করে তিনি ষড়যন্ত্র করছেন তানা হলে তিনি এই কথা বললেন  কেন?

মান্নার স্ত্রী মেহের নিগার কাছে দাবি করেন, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে বনানীতে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী পুলিশ। এ সময় তারা কোনো পরোয়ানা দেখায়নি।

তবে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ও ডিএমপির মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকালে দাবি করেন, মান্নাকে আটক বা গ্রেপ্তার করার কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই। পরিবারের অভিযোগের বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।

মান্নার স্ত্রীর ভাষ্য, বনানীর ই ব্লকের ১৭/এ সড়কের ১২ নম্বর বাসা থেকে মান্নাকে তুলে নিয়েছে সাদা পোশাকধারী পুলিশ। মান্না তাঁর ভাতিজির বাসায় অবস্থান করছিলেন।

আজ বেলা ১১টার দিকে বনানীর ওই বাসায় গেলে নিরাপত্তারক্ষীর পরিচয় দেওয়া মোস্তাফিজুর রহমান দাবি করেন, ভেতরে কেউ নেই। বাসার সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে গেছেন।

গতকাল রাতের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মোস্তাফিজুর দাবি করেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাই রাতের ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না। তবে আজ সকালে এসে বাড়ির ফটক খোলা পেয়েছেন তিনি।

যোগাযোগ করা হলে মান্নার স্ত্রী মেহের নিগার দাবি করেন, তিনি বাসার বাইরে আছেন। মান্নাকে তুলে নেওয়ার বিষয়টি বনানী ও গুলশান থানায় জানিয়েছেন। তবে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি পরিবারের পক্ষ থেকে।

মান্নাকে বনানীর যে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার, সেখানকার এক অধিবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গতকাল গভীর রাতে ওই বাসার সামনে বেশ কয়েকটি মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন তিনি।

সকালে বনানী থানা পুলিশের একটি দল ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা বনানীর ওই বাড়ি ও সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে উপস্থিত থাকা বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ভূঁইয়া মাহবুবুর রহমান বলেন, তারা কোনো অভিযোগ পাননি। তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।