• শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের নেতা ছাত্রলীগ নেতা


প্রকাশিত: ৭:৫৩ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৫ বার

22স্টাফ রিপোর্টার  :  ইজ্জত পাংচার-ছিনতাইকারী চক্রের নেতা ছাত্রলীগ নেতা। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন।তার রুম থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।এসময় ৭ জন বহিরাগতকে আটক করে পুলিশ।

33রোববার দিবাগত রাত ১২টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যারয়ের সুর্যসেন হলে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়। সুজন ওই হলের সাবেক সাধারণ সম্পদক। তিনি ৩১৫ নম্বর রুমে থাকেন। ওই রুমসহ বেশ বেশ কয়েকটি রুম সুজনের নিয়ন্ত্রণে ছিল।

এসব রুমের কয়েকটি রুমে অভিযান চালিয়ে ৭ বহিরাগতকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১৩ নম্বর রুম থেকে ৫ জন, ৩১৪ নম্বর রুম থেকে একজন এবং ১০১ নম্বর রুম থেকে একজনকে আটক করা হয়।

ছাত্রলীগ নেতা সুজনের নিজের রুম থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি রামদা, একটি খেলনা পিস্তল, কককেটল তৈরির সামগ্রী এবং ইয়াবা তৈরির প্যাকেট উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে।

অভিযানের পর থেকেই সুজন পলাতক। জাতিরকন্ঠের ঢাবি প্রতিনিধি জানান, অভিযানের নেতৃত্ব দেন শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী এবং হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালসহ হলের আবাসিক শিক্ষক ও পুলিশের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেফতারকৃতদের তিনজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে। তারা হলেন- লিমন দাড়িয়া, মো. সানি ও মো. রিয়াজ। অন্যরা হলেন- মো. টিটন (খুলনা), মো. তপু হোসেন (মুন্সীগঞ্জ), ইমন হোসেন (সাতক্ষীরা) এবং মো. সজিব (মাদারীপুর)।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী জানান, তিনদিন আগে তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে ওয়ারী থানা পুলিশ। তারা পুলিশকে জানায়, তাদের মূল হোতা কাশেম (ছদ্মনাম)। কাশেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলে থাকেন। এর পর থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সূর্যসেন হলে নজরদারী রাখা হয়। এ কারণে গত তিনদিন কাশেম হলে আসছিল না।

তিনি জানান, রোববার কোতোয়ালী থানা পুলিশ কাশেমকে গ্রেফতার করে। কাশেমের কাছ থেকে সুজনসহ অন্যদের নাম বেরিয়ে আসে। সুজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সূর্যসেন হলে অভিযান চালানো হয়।

ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী আরও জানান, যেসব রুমে অভিযান চালানো হয়েছে সেসব রুমে আরও অস্ত্র গোলা-বারুদ ছিল বলে তথ্য ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কাশেমের গ্রেফতারের খবর জানার পর ওইসব অস্ত্র গোলা-বারুদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পাশপাশি সুজন পালিয়ে গেছে।

শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, গ্রেফতারকৃতদের নামে ছিনতাই, চাঁদাবাজি এবং ডাকাতিসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা আছে। এর মধ্যে কাশেমের নামে ওয়ারী থানাতেই ৭টি মামলা আছে।

সম্প্রতি দিনের বেলায় ঢাবি ক্যাম্পাসে গুলি করে যে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটানো হয়েছে তার সঙ্গে টিটন ও কাশেম জড়িত বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে তিনি জানান।