• বৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ ২০২৪

চাঁন্দাবাজ ধান্ধাবাজ সাইদুর-শারমিনের অপকর্মে অতিষ্ঠ শ্রীপুরের আম-জনতা


প্রকাশিত: ৪:৩৬ পিএম, ১৭ মার্চ ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৫ বার

গাজীপুর প্রতিনিধি : চাঁন্দাবাজ ধান্ধাবাজ ভুয়া সাংবাদিক সাইদুর-শারমিনের অপকর্মে অতিষ্ঠ গাজীপুরের শ্রীপুরের নিরীহ সাধারন মানুষ। গাজীprotarok-www.jatirkhantha.com.bdপুরের শ্রীপুরে  সংঘবদ্ধ নামধারী এই সাংবাদিক চক্রের নানা হয়রানির  শিকার
একটি নিরীহ কৃষক পরিবার। চাঁদা দাবী, মিথ্যা মামলা ও সংবাদ প্রকাশের হুমকি-ধামকি, দমন-পীড়নের মাত্রায় ওই কৃষক পরিবারকে কোনঠাসা করার চক্রান্ত চলছে। শ্রীপুর পৌরসভার গিলারচালা গ্রামের মৃত আব্দুল ছালাম ফকিরের ছেলে কৃষক শফিকুল ইসলাম ওই সংঘবদ্ধ চক্রের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এ ব্যাপারে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৫ জন ও অজ্ঞাত ৩/৪ জন কে অভিযুক্ত করে গাজীপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার মেঘনা গ্রামের আব্দুস ছাত্তার প্রামানিকের ছেলে সাইদুর রহমান (৩৬), লক্ষীপুর জেলার ১নং চাঁদপুর গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে মোঃ নিশান (৩৫), গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার গিলারচালা গ্রামের এমদাদ হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন (৩৭), সিরাজুল হকের ছেলে নজরুল (৪২), জয়দেবপুর থানার কাউলতিয়া গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী শারমিন সুলতানা মিতু (৩২)।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর আদালতে সি.আর মামলা নং ১৫৩/১৭ এর অভিযোগে কৃষক শফিকুল ইসলাম উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত সাইদুর রহমান নামধারী সাংবাদিক ও ভূমিদস্যু। মিথ্যা সংবাদ প্রচারের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবী করে মানুষের ক্ষতি করে আসছে। সাইদুরের যোগসাজসে অভিযুক্ত রুহুল, নজরুল, শারমিন সুলতানা মিতু, নিশান সহ অজ্ঞাত অন্যান্যরা বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে চাঁদা দাবী করে আসছেন।

রাতের আধারে এলাকায় অবৈধ গাস লাইস সংযোগে সহায়তা দিয়ে  সাধারণ লোকজনের নিকট থেকে বড় ধরনের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। পুনরায় এলাকাবাসীকে মোবাইল কোর্টের ভয় দেখিয়ে চক্রটি বড় ধরনের অর্থ আদায়ে লিপ্ত থাকে। চক্রটি কৃষক পরিবারকে দীর্ঘ দিন যাবৎ গোপনে ও প্রকাশ্যে ভয় দেখিয়ে আসছে।

সেই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অনুমান বিকেল ৪ টার দিকে কৃষকের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে কৃষক পরিবারের লোকজনকে বাজারে ব্যবসা করতে দিবে না। অহেতুক অবৈধ গ্যাস সংযোগের মিথ্যা খবর পত্রিকায় প্রকাশ করিবে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে  হয়রানি করিবে।

কিন্তু কৃষক চাঁদা দিতে অস্বীকার করিলে সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা সাইদুর ও তার সহযোগীরা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার শর্ত দিয়ে  ২ লক্ষ টাকা কৃষক পরিবারের নিকট চাঁদা দাবি করে। ১৫ দিনের মধ্যে ২ লক্ষ টাকা না দিলে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চক্রটি চলে যায়। কিন্তু চক্রের সদস্যদের খুন-জখমের হুমকিতে ওই কৃষক পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছে। বিজ্ঞ আদালতে সুবিচার প্রার্থনা করেন কৃষক পরিবার।

কৃষককে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে  হয়রানির ব্যাপারে অভিযুক্ত শারমিন সুলতানা মিতু সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোষ্টের মন্তব্যে প্রথমে এড়িয়ে গেলেও পরে লিখেন, কৃষককে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রসঙ্গে তিনি কিছুই জানেন না। সেখানে, আদালতে কৃষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলার সাক্ষী হওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করেন। অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, গ্যাস লাইন তার পৈত্রিক সম্পত্তি নয়।