• শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

শোলাকিয়ায় হামলার আমিই টার্গেট ছিলাম-মাওলানা মাসউদ


প্রকাশিত: ১১:১৪ পিএম, ৭ জুলাই ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৬ বার

ডেস্ক রিপোর্টার   :  ঈদুল ফিতরের দিনে হামলার ঘটনায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার ঈদ জামাতের masud-www.jatirkhantha.com.bdইমাম মাওলানা  ফরিদউদ্দিন মাসউদ সন্ত্রাসীদের টার্গেট ছিলেন।বৃহস্পতিবার রাতে মাওলানা ফরিদউদ্দিনের বরাতে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল নটার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়ামে পৌঁছান তিনি। সকাল ১০টায় এবার শোলাকিয়ায় ১৮৯তম ঈদের জামাতে ইমামতি করার কথা ছিল তার।তবে তিনি হেলিকপ্টার থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ সংলগ্ন আজিমুদ্দিন স্কুল প্রাঙ্গণে নামার পরপর সকাল সোয়া ৯টার দিকে বোমা হামলায় চালায় আটজন দুর্বৃত্ত।

এ হামলায় দুজন পুলিশ সদস্য, একজন হিন্দু নারী ও একজন সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়। এছাড়া আট পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১২জন আহত হয়েছেন।এ হামলার ব্যাপারে মাওলানান ফরিদউদ্দিন বলেন, ‘আমি সবসময়ই জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার- এবং আমার পুরো ইমেজটাকেই আমি শান্তির জন্য ব্যয় করছি। তাই এটা অসম্ভব নয় যে আমাকে তারা টার্গেট করবে বা করছে।’

তিনি বলেন, ‘এটা শুনছি যে যারা ধরা পড়েছে একথাটাও তারা উল্লেখ করেছে যে আমি তাদের টার্গেট ছিলাম, আছি ।’মাওলানান ফরিদউদ্দিন বলেন, সময় বাঁচাতে প্রতিবছরের মত এবারেও ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জ গিয়েছিলেন তিনি ।

হেলিকপ্টার থেকে কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়ামে নামার সময় তিনি একটা আওয়াজ শুনতে পান, যেটাকে তিনি প্রথমে তেমন আমলে নেননি।এরপর সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা তখন তাকে জানিয়েছিলেন সেখানে বোমা নিক্ষেপের একটা ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলার সার্কিট হাউজে চলে যায়।

সার্কিট হাউসে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন পুলিশের টহল বাহিনীর ওপর হামলা হয়েছে এবং পুলিশ মারা গেছে। এরপর নিরাপত্তা কর্মীরা শোলাকিয়ার জামাতে তাকে না যাওয়ার পরামর্শ দেন ।মাওলানা ফরিদউদ্দিন  বলেন, ওরা জনমনে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। ওরা বিলক্ষণ জানে এভাবে সরকার বা সমাজ পরিবর্তন হবে না।

তিনি বলেন, তাদের আতঙ্ক সৃষ্টির এই কৌশল নেওয়ার কারণ হল জনগণ যখন আতঙ্কিত হয়ে যায়, তখন আতঙ্কিত মানুষের প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়।বাংলাদেশে সম্প্রতি বেশ ক’টি গুপ্ত হত্যার প্রেক্ষাপটে কিছুদিন আগে ইসলামের ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়। ধর্মের নামে মানুষ হত্যাকারীরা জাহান্নামে যাবে- এ ধরণের ১০টি ফতোয়ার উদ্যোক্তা ছিলেন শোলাকিয়ার এই ইমাম।