• বুধবার , ১৭ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষককে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য করে ম্যাজিস্ট্রেটগিরি দেখানোর খেসারতে..


প্রকাশিত: ১২:৫৩ এএম, ২৬ মে ১৫ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৫ বার

majistrate-asraful-www.jatirkhantha.com.bdদিনা করিম.ঢাকা: পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে দায়িত্ব পালনের সময় শিক্ষক মমতাজ উদ্দিনকে পা ধরে মাফ চাইতে বাধ্য বাধ্য করে ম্যাজিস্ট্রেটগিরি দেখানোর খেসারতে ম্যাজিস্ট্রেট মো.আশরাফুল ইসলামকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

ওই ঘটনায় দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ১৫ জুন তাকে স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনাটি একজন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে তদন্ত করাতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

জনপ্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ মোট আটজনকে এ নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যৈষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

প্রসঙ্গত, গত ৯ এপ্রিল এইচএসসি’র ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা চলাকালে ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন শিক্ষা ক্যাডারের ২৪ বিসিএসের কর্মকর্তা শিক্ষক মোমতাজ উদ্দিন। ওই সময় সেখানে মোবাইলে কথা বলতে বলতে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ২৯তম বিসিএসের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।

এ সময় মোমতাজ উদ্দিন তার পরিচয় জানতে চাইলে ক্ষেপে যান আশরাফুল। এক পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনির হোসেন হাওলাদারকে ফোন করেন ও পুলিশ ডেকে পাঠান তিনি। পরে তারা অধ্যক্ষের কক্ষে প্রকাশ্যে শিক্ষক মোমতাজ উদ্দিনকে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন।