• শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

শাহবাগে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ


প্রকাশিত: ৭:৩১ পিএম, ১৮ মে ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৮ বার

স্টাফ রিপোর্টার:  শাহবাগে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।চার দফা দাবিতে 2রাজধানীতে আন্দোলনরত মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধীনে থাকা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পরে তাদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ।

উচ্চশিক্ষাসহ চার দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন নামে ওই সংগঠন গত ২৬ এপ্রিল থেকে আন্দোলন করছে। অন্য দাবিগুলো হলো মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ নামে আলাদা বোর্ড গঠন, সরকারি বেসরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিক্ষানবিশকালীন চিকিৎসকদের ভাতা প্রদান। ম্যাটসের আওতায় সরকারি আটটি ও বেসরকারি ২০৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।3

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে শিক্ষার্থীরা আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওনা দেয়। এ সময় সেখানেই পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক নারী পুলিশ সদস্যকে আহত হতে দেখা গেছে।

এরপর শিক্ষার্থীরা বাধা পেরিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এলে পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান থেকে গরম পানি ছোড়ে। শিক্ষার্থীরা এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বারডেম হাসপাতালের সামনে বেশ কয়েকটি বাস, মাইক্রোবাস ও ট্যাক্সি ক্যাব ভাঙচুর করেন। এ সময় নয়জন শিক্ষার্থীকে পুলিশের ভ্যানে করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
1
ম্যাটস শিক্ষার্থীদের ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাস্তায় আছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। ম্যাটস শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোহেল খন্দকার বলেন, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত অবরোধ চলবে। তাঁর দাবি, চার দফা দাবির স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় যাচ্ছিল। শাহবাগ মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। টিয়ার শেল ছোড়ে। সোহেল খন্দকারের দাবি, পুলিশের লাঠিপেটায় প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। প্রায় ১৫০ শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করেছে।

রমনা জোনের উপকমিশনার মো. মারুফ হোসেন সরদারের ভাষ্য, শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেতে চান। সেটা সম্ভব না। এ কারণে তাঁদের বাধা দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু এরপরও শিক্ষার্থীরা না মানায় তাঁদের ওপর পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে বাধ্য হয়।