• শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

লন্ডনে বসে নাটাই ঘুরাচ্ছে তারেক


প্রকাশিত: ৪:০৪ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ১৮ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২০২ বার

লন্ডন থেকে সেলিমা খাতুন  এবার লন্ডনে বসে আন্দোলনের নাটাই ঘুরাচ্ছে তারেক জিয়া! ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এই রায় Tarek london-www.jatirkhantha.com.bdনিয়ে দেশে যেমন চলছে জল্পনা-কল্পনা তেমনী প্রবাসেও চলছে নানা রকম মত-ভাবনা। এই রায়ের প্রেক্ষিতে কি করবে বিএনপি তা নিয়ে দেশে বিএনপি ও অন্যান্য সমমনা সংগঠনগুলো বৈঠকে বসছে তেমনি বিদেশেও এই বিষয়টি নিয়ে প্রবাসী রাজনীতিবিদেরা বৈঠক করছেন।

একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র বলেছে, লন্ডনে বসে আন্দোলনের নাটাই ঘুরাচ্ছে তারেক জিয়া ! গত ২৭ জানুয়ারি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের বাসায় একটি বৈঠকে দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়ার সাজা হলে এবং তাকে গ্রেপ্তার পূর্বক কারাগারে পাঠানো হলে সেই দিন থেকেই সরকার পতনের একদফার দাবিতে দেশে-বিদেশে আন্দোলন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
Khalada jia-www.jatirkhantha.com.bd
গোপন এই প্রতিবেদনটির ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গত ৩১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরপর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সংস্থাটির সব ইউনিটে এ ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, তারেক রহমানের বাসায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুক্তরাজ্য বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ১০/১২ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাজা ও তাকে কারাগারে পাঠানো হলে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, হাউজ অব কমন্স, ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ, অফিসসহ লন্ডনে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সামনে মানববন্ধনসহ স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়া অনুরুপ কর্মসূচি ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোয় পালন করারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
Khaleda-tarek-www.jatirkhantha.com.bd
বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বাংলাদেশে আন্দোলনের কৌশল হিসেবে বর্তমান সরকারকে খুনি ও নির্যাতনকারী হিসেবে বহি:বিশ্বে তুলে ধরার চেষ্টা চালানো হবে। এজন্য আন্দোলনকারী বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনও রকম হামলা বা গুলি চালায়, তাহলে আন্দোলনকারী কর্মীদের মধ্য থেকে নিজেরাই নিজেদের কোনও কর্মীকে বা নিরীহ কোনও ব্যক্তিকে হত্যা করবে।

এর দায় চাপানো হবে সরকারের ওপর। এর মাধ্যমে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনকে বেগবান করা হবে।বৈঠকে আন্দোলন কর্মসূচিতে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের পরিবারকে লন্ডন থেকে বিভিন্ন চ্যারিটির মাধ্যমে সহায়তা দিয়ে আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের উৎসাহ দেয়ার কথাও সিদ্ধান্ত হয় বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।