• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

রেডএ্যালার্ট-আজ থেকে ২২ দিন ইলিশ নিষিদ্ধ


প্রকাশিত: ২:২৯ পিএম, ১২ অক্টোবর ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৪ বার

66রায়পুর লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি  :  আজ ১২ অক্টোবর বুধবার থেকে মেঘনা নদীতে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশ 55মাছ ধরা নিষিদ্ধ। স্থানীয় প্রশাসন মাছ ধরা প্রতিরোধে বেশ কিছু প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে বিগত বছরগুলোর মতো নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে সরকার দল সমর্থিত জেলেরা এবারও নদীতে মাছ ধরতে পারে বলে আশংকা করছেন সাধারণ জেলেরা।

মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ মাছের নিশ্চিত প্রজননের লক্ষ্যে চাঁদপুরের মেঘনার ষাটনল থেকে রামগতি পর্যন্ত একশ কিলোমিটার নদী এলাকা প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ এলাকায় আজ বুধবার থেকে আশ্বিন মাসের বড় পূর্ণিমার আগের চারদিন, পূর্ণিমার দিন ও পরের ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশের প্রজনন সময়।

এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে মা ইলিশ এসে রায়পুরের মেঘনায় ডিম ছাড়ে। একটি বড় ইলিশ ২৩ লাখ পর্যন্ত ডিম ছাড়তে পারে। বেশি ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্বিঘ্নে যাতে মা ইলিশ ডিম ছাড়তে পারে সে জন্যই ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
22
এদিকে মা ইলিশ শিকার বন্ধে জেলেদের সচেতনতা সৃষ্টিতে সভা, মাইকিং, প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া আড়তগুলো সিলগালা ও বরফ কলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। সর্বোপরি, কোস্ট গার্ডের ১ জন কমান্ডারসহ ২৫ নির্বাহী সদস্য হাজীমারা, পানিরঘাট, চরজালিয়া, কাটাখালিতে নৌ বাহিনীর বিশেষ টহল জোরদার করা হবে।

জেলে নেয়ামত হোসেন ও করিম উদ্দিন জানান, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে সাধারণ জেলেরা নদীতে মাছ ধরতে সাহস পায় না। সরকার দল সমর্থিত প্রভাবশালী ইঞ্জিন নৌকার মালিক, মাছের আড়তদার ও জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত বছর নদীতে অবাধে ইলিশ ধরেছে। এবারও ওইসব প্রভাবশালী জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরতে পারে। এ জন্য ইতিমধ্যে তারা বেশ প্রস্তুতিও নিয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে রায়পুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নদীতে ইলিশ ধরা রোধে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। ইতিমধ্যে মেঘনা নদী এলাকায় জেলে, জনপ্রতিনিধি ও সুধিজনকে নিয়ে একটি সচেতনমূলক সভাসহ পর্যাপ্ত মাইকিং করা হয়েছে।

এছাড়া বরফ কলগুলোর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে। বন্ধ করা হবে মাছের আড়তগুলো। যদি কেউ আইন অমান্য করে মাছ ধরে তাহলে ১ বছর থেকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ ছাড়াও নিষেধাজ্ঞাকালে রায়পুরে ৬ হাজার ৩৭ জন নিবন্ধিত জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।