• শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

রাবি’র লিপু হত্যার বেহাল দশা- পুলিশের সামনে ঘাতকরা ঘুরছে


প্রকাশিত: ৭:৪৫ পিএম, ২০ জানুয়ারী ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮২ বার

 
রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী lipu-www.jatirkhantha.com.bdমোতালেব হোসেন লিপু হত্যার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এর কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এখনো পর্যন্ত এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়নি পুলিশ, এমনকি জমা হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন। গত বছরের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের ডাইনিংয়ের পাশের ড্রেন থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রশাসনের কাজের অগ্রগতি না থাকলেও লিপুর বাবা বদরউদ্দিন নিজের দায়িত্ব সাধ্যমতো পালনে করছেন। ট্রাকচালক বাবা ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে মসজিদে মিলাত দিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তানকে হারিয়ে পরিবারটির যেন ‘বেঁচে থাকার জন্য বাঁচা’। তাই বদরউদ্দিনের কণ্ঠে স্বপ্নহীন সুর, ‘কোনোমতে বাঁইচ্চা আছি বাপু।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনের দুঃখ, ও কী কাজ করল আর ওকে মেরে ফেলল? ও যদি কোনো অন্যায় করে সেইডার তো অন্য সাজা-শাস্তি তো ছিল। কী কব বাপু, আল্লার কাছে দোয়া করি, আল্লার কাছেই বিচার চাই।’

কিন্তু তদন্তের এই গতিহীনতায় হতাশ লিপুর পরিবার। লিপুর বাবা বলেন, ‘কই পুলিশে খোঁজ-খবর নেয়? ফোন করলে কয়, আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা আগাচ্ছি। কইয়া ফোন কাইট্টা দেয়। আমরা ফোন করি, তারা ফোন কাইট্টা দেয়। ওরা যে কী চেষ্টা চালাচ্ছে, কীভাবে আগাচ্ছে, সেটা তারাই জানে! মাসখানেক আগে ফোন করছিলাম। আবার সেদিন র‌্যাব থেকে ফোন করল। বলল, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি, অপরাধীদের খুঁজে বের করব। এই পর্যন্তই।’

‘আমরা তো চাই শাস্তি হোক কিন্তু শাস্তিডা দিবি ক্যাডা? কার জন্যে কে কান্দে। আর যারা লিপুরে মারছে তাদের তো লোক আছে, দল আছে’, হতাশার সুরে যোগ করেন বদরউদ্দিন।

লিপুকে হত্যার দিন বিকেলে তাঁর চাচা মো. বশীর উদ্দিন বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। তিনদিন পর হত্যা মামলায় মনিরুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

২৬ অক্টোবর মনিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা অশোক চৌহান বলেন, ‘আমরা লিপুর রুমমেট মনিরুলের কাছ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতে এরই মধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’ তবে পরের মাসের ৮ নভেম্বর জজকোর্ট থেকে জামিন পান মনিরুল ইসলাম।