• মঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৪

রাজনীতির থার্ডফোর্স-কি ঘটছে অন্তরালে!


প্রকাশিত: ২:১৭ পিএম, ৩ আগস্ট ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৫ বার

এস রহমান  :  আওয়ামী লীগ-বিএনপি ঠেকাতে এবার রাজনীতির থার্ডফোর্স গঠনের  প্রক্রিয়া চলছে! এর সার্বিক চাল চালছেন সাবেক thard force-www.jatirkhantha.com.bdরাষ্ট্রপতি বি চৌধুরী। রাজনীতির থার্ডফোর্স গঠনে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকারের শরীক দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ভাই জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের’ও এর সঙ্গে যুক্ত।

জানা গেছে, থার্ডফোর্স গঠন নিয়ে বুধবার রাতে বি চৌধুরীর বারিধারার বাড়িতে এক বৈঠকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীও ছিলেন। এর আগে গত ১৩ জুলাই রাতে রবের উত্তরার বাসায় বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী, মান্না, সুব্রত চৌধুরীরা এক হয়েছিলেন, যাতে বাগড়া দিয়েছিল পুলিশ।
thard force-www.jatirkhantha.com.bd.1
বি চৌধুরীর বাড়ির তৃতীয় তলায় বৈঠকের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে বৈঠকের মধ্যমনি হয়ে ছিলেন বি চৌধুরী; এক সোফায় রবের পাশেই বসেন জি এম কাদের।  জি এম কাদের বলেন, একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি (বি চৌধুরী) তিনি গণ্যমান্য ব্যক্তি, তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, সেজন্য আমি এসেছি। অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বি চৌধুরী বলেন, যারা দেশ নিয়ে ভাবে, দেশের কথা চিন্তা করে, তারা সবাই এক সঙ্গে বসেছিলাম।বিকল্পধারার এক নেতা বলেন, “কিছু রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে ডিনারের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বি চৌধুরী। সেইসঙ্গে কিছু আলোচনাও হয়। দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি তৃতীয় রাজনৈতিক জোট করা যায় কি না, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় হয়।

বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীও বৈঠকে ছিলেন। আ স ম রবের সঙ্গে তার স্ত্রী তানিয়া রবও ছিলেন। কাদের সিদ্দিকী ঢাকার বাইরে থাকায় বৈঠকে ছিলেন না বলে বিকল্প ধারার ওই নেতা জানান। বৈঠক শেষে মান্না বলেন, আমরা কিছু একটা করব। তবে এটা এখনই প্রকাশ করতে পারছি না। সময় হলেই জানতে পারবেন। এই ধরনের আরও বৈঠক আরও অনেকের সঙ্গে তারা করবেন বলে জানান আ স ম রব।

বি চৌধুরীর ছেলে মাহী বলেন, রাজনীতিকদের একজনকে আরেকজনের সহ্য করতে না পারার যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছি আমরা। বি চৌধুরী, কাদের সিদ্দিকী ও রব ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে এনডিএফ জোট গঠন করেছিলেন। বিএনপির মতো তারাও ওই নির্বাচন বর্জন করেন।

বর্জনের ঘোষণা দেওয়ার পরও নানা নাটকীয়তার পর সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন এরশাদ; তবে ভাই জি এম কাদের ভোট বর্জনের পক্ষেই ছিলেন। ওই নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টি সংসদে প্রধান বিরোধী দলের আসন নিয়েছিল, সেই সঙ্গে মন্ত্রিত্বও নিয়েছিল; যাতেও আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন কাদের।

ওই নির্বাচনের পর এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ হন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা। এরশাদ নিজে হন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত। কিছু দিন পর ভাই জি এম কাদেরকে দলে নিজের উত্তরসূরি ঘোষণার পর বিরোধিতার মুখে কিছুটা পিছু হটতে হয় এরশাদকে।একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে ‘বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি’ গড়ে তোলার কথা বলছেন বি চৌধুরী, মান্না, রবরা।