• শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

মোহরানা ২০ লাখ-কণ্ঠশিল্পী সালমা নিলেন ৫৬ লাখ টাকা


প্রকাশিত: ৩:০৫ এএম, ২৭ নভেম্বর ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২০৩ বার

 
বিনোদন প্রতিবেদক : বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা ও সাংসদ শিবলী সাদিকের মধ্যে। গত salma-www-jatirkhantha-com-bd২০ নভেম্বর নগরীর ধানমন্ডি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে তালাকের কার্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।এনটিভির রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ এর মাধ্যমে রাতারাতি সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন ফোক গায়িকা সালমা।

দিনাজপুরের সঙ্গীত পরিবারের ছেলে শিবলী সাদিক পছন্দ করেন সালমাকে। ২০১১ সালে সালমা ও শিবলী সাদিকের পারিবারিকাভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। শিবলী সাদিক সঙ্গীতচর্চা করলে পিতার উত্তরসূরি হিসেবে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেন। দিনাজপুর ৬ আসন থেকে পিতার মৃত্যুর পর প্রার্থী হন এবং সর্বশেষ সংসদ সদস্য হিসেবে ssssনির্বাচিত হয়

সালমা ও শিবলির সংসারজুড়ে আসে একমাত্র কন্যা স্নেহা। রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় সালমা ও শিবলী বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি সালমার পারিবারিক দ্বন্দ্ব চরমে উঠলে সালমা-ই শিবলীকে ডিভোর্সের উদ্যোগ নেন। কিন্তু কী কারণে এ বিচ্ছেদ? এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠজনদের মত, সালমার চলাফেরায় শিবলীর ‘হস্তক্ষেপ’ বিচ্ছেদের কারণ বলে মনে কর হচ্ছে।

গত ২০ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮ টায় রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় তালাকনামা সম্পন্ন হয়। এসময় শিবলি সালমাকে মোহরানারার ২০ লাখ ১ টাকা বুঝিয়ে দেন। তবে একটু সূত্র জানায়, খোরপোশ ও আনুষাঙ্গিক মিলিয়ে সালমাকে ৫৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেন শিবলী সাদিক।

সালমা ও শিবলী সাদিকের নিজস্ব নিয়মিত ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলে উভয়ের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।জানা গেছে, সালমা ধানমন্ডিতে নিজের ফ্ল্যাটে রয়েছেন, একই সাথে নিজের সঙ্গীতের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে কন্যা স্নেহা বাবা শিবলী সাদিকের সাথে রয়েছে।

কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত—

কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন, জানতে চাইলে সালমা বলেন, ‘অনেক দিন থেকেই গান ও লেখাপড়া বন্ধ করার জন্য তাঁর স্বামীর দিক থেকে চাপ ছিল। এমনকি বাবা, মা, ভাই ও মামার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে বারবার।’

এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘বিয়ের পর প্রায় চার বছর নিয়মিত গান করিনি। সংসারের জন্য সবকিছুই বিসর্জন দিয়েছি আমি। মুখ বুঝে অনেক কিছুই মেনে নিয়েছিলাম তারপরও শেষ রক্ষা হলো না।’
দুজনের চূড়ান্ত বিচ্ছেদের বিষয়টি স্বীকার করেছেন তাঁর স্বামী শিবলী সাদিক। তবে সালমার অভিযোগের বিষয়ে একমত নন তিনি।

শিবলী সাদিক বলেন, ‘আমিই ওকে পড়ালেখার জন্য ভর্তি করিয়েছিলাম। তাহলে কেন আমি বন্ধ করতে যাব। বিয়ের পর থেকে ওর বাবা, মা মাসের প্রায় ২৫ দিনই আমার বাসায় থেকেছেন। এর বেশি আর কিছুই বলতে চাই না।’