• শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

মেয়ে জামাইয়ের সেবা করতে গিয়ে বিয়ে করলেন শাশুড়ি!


প্রকাশিত: ৫:২৮ পিএম, ১৪ জুন ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২০ বার

মিরা নায়ার  :   প্রেমে হাবুডুবে খেতে খেতে শেষমেশ নিজের মেয়ের জামাইকেই বিয়ে করে বসলেন 22৪২ বছরের শাশুড়ি। সেই বিয়েকে আবার মেনেও নিল স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহারের মাধেপুরা জেলায়।

দুই বছর আগেই মাধেপুরার আশাদেবীর ১৯ বছরের মেয়ে ললিতার সাথে বিয়ে হয়েছিল পুরাইনির বাসিন্দা সুরজের (২২)। বছর খানেক পর তাদের সংসার আলো করে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। এপর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। এরপর একদিন হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সুরজ। তখন সুরজকে দেখভাল করতে মেয়ের বাসায় ছুটে যান শাশুড়ি আশা । জামাইকে সেবা শুশ্রূষা করে তোলার দায়িত্ব তুলে নিজের কাঁধেই।

এর পর থেকেই একে অপরের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু করে। জামাই সুস্থ হয়ে ওঠার পর শাশুড়ি নিজের বাসায় ফিরে গেলেও জামাইয়ের সাথে সঙ্গে তাঁর প্রেম চলতে থাকে। এমনকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ফোনে কথা হয়ে তাদের দুইজনের মধ্যে। আশা দেবীর স্বামী কর্মসূত্রে দিল্লি থাকায় সেই ঘনিষ্ঠতা আরও জোরালো রূপ নেয়।

 

এক সময় দুইজনের সম্পর্ক এত গভীরে চলে যায় শেষ পর্যন্ত বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন সুরজ ও আশা। গত মাসে কোর্ট ম্যারেজ সেরে ফেলেন তারা।
শাশুড়ি-জামাইয়ের এই বিয়েকে সম্মতি দিয়েছে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। নিজের স্বামী ও মায়ের বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ এনে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মেয়ে ললিতা। কিন্তু পঞ্চায়েতের বক্তব্য ‘এই দুইজন প্রেমে এতটাই পাগল যে তাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না’।

পুরো ঘটনাটি জেনে দিল্লি থেকে চলে আসেন ললিতার বাবা অর্থাৎ আশা আগের স্বামী। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। পরে জামাইয়ের ঘর থেকে মেয়ে ললিতাকে নিজের বাসায় নিয়ে যান তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, ‘নতুন দম্পতি একসাথেই থাকছে। গ্রামের মানুষ তাদের এই সম্পর্ককে মেনে নিয়েছে এবং তাদের সংসারে আইনতভাবে হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে আমাদের কোন অধিকার নেই কারণ কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।