• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা- ৩৮ হাজার ফেল-পাস ৩৪ শতাংশ


প্রকাশিত: ১২:২৪ এএম, ২৭ অক্টোবর ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৬ বার

 

  medical-1স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা: ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ভর্তি পরীক্ষায় ৩৮ হাজার ফেল-।

পাসের হার প্রায় ৩৪ শতাংশ। রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিলনায়তনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক আনুষ্ঠানিকভাবে আজ রোববার এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন।

এ বছর এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৬৬ হাজার ৯৮৭ জন অংশ নিয়ে পাস করেন ২২ হাজার ৭৫৯ জন। তবে ২৯টি সরকারি মেডিকেলে আসনসংখ্যা তিন হাজার ৬৯৪ জন। এর বাইরে ৫৬টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসনসংখ্যা পাঁচ হাজার ৩২৫টি। শুধু সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পেরেছেন এমন পরীক্ষার্থীদের ফল ঘোষণা করা হয়। মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকারী ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১৮১ দশমিক ৫ পেয়েছেন। সবশেষ পরীক্ষার্থী পেয়েছে ১৫৮ দশমিক ২৫। ভর্তি প্রক্রিয়া ৩০ অক্টোবর থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ৪০। পাসের হারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পাসের হার আরও বেশি হলে ভালো হতো। এটি তো আমাদের হাতে নেই। ছাত্রছাত্রীরা মেধারভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছেন।’

মান নিয়ে তদন্তাধীন মেডিকেলের ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানাবেন
পাস নম্বর পাননি এমন ছাত্ররা বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি হতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যসচিব এম নিয়াজউদ্দিন সুস্পষ্টভাবে কোনো উত্তর দেননি। যে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মান তদন্ত করে দেখা হচ্ছিল সেগুলোর ব্যাপারেও তাঁরা কিছু বলেননি। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘তদন্তাধীন মেডিকেল কলেজের ব্যাপারে মাননীয় মন্ত্রী জানেন। তদন্ত শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনিই বলবেন।’
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে পাস নম্বর শিথিল করা হবে কি না এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব প্রতিষ্ঠানই শিক্ষার মানের কথা বলছে। দেখা যাক। এ ক্ষেত্রে কী হয়। আলাপ-আলোচনার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’
বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তি ফি নির্ধারণের ব্যাপারে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান স্বাস্থ্যসচিব। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও সেনাবাহিনীর মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তি ফি কেন ১০ লাখ টাকা জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘সেনাবাহিনী সরকারের, কিন্তু তারা প্রতিষ্ঠানগুলো অটোনমাস (স্বায়ত্তশাসিত) প্রতিষ্ঠানের মতোই পরিচালনা করে থাকে।’

এ দিকে এবার ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ হওয়ায় এবং পরীক্ষার আগে কোচিং সেন্টার বন্ধ ও পরীক্ষার হলে ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার মতো উদ্যোগ নেওয়ায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছে চিকিৎসকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ।