• বৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ ২০২৪

মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের চিফ স্টুয়ার্ডের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি


প্রকাশিত: ৫:১৩ পিএম, ২৫ আগস্ট ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৮ বার

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে ফ্রান্সের প্যারিসে যাওয়ার পথে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি বিমানে যৌন হয়রানির ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফাইল ছবি: এএফপি


অনলাইন ডেস্কমালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের একটি বিমানের চিফ স্টুয়ার্ডের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন একজন নারী যাত্রী।

আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে ফ্রান্সের প্যারিসে যাওয়ার পথে যৌন হয়রানির ঘটনাটি ঘটে বলে ওই নারী অভিযোগ করেন।

গতকাল রোববার অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল সেভেনের কাছে ২৬ বছর বয়সী লরা বুশনি অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনাপ্রবণ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বিমানে চড়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন তিনি। এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিমানটির চিফ স্টুয়ার্ড (প্রধান পরিচারক) তাঁর পাশে বসেন। একপর্যায়ে তাঁর পায়ে হাত বোলাতে থাকেন। পরে তিনি তাঁর প্যান্টের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেন।

২৬ বছর বয়সি এ অস্ট্রেলিয়ান নারী তার আইফোনে এ যৌন হয়রানির অংশবিশেষ ধারণ করে রেখেছেন বলেও জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এসএমএইচ।
বুশনে নামে এ নারী কুয়ালালামপুর থেকে প্যারিসে যাচ্ছিলেন। সে যাত্রাপথেই তিনি মোহাম্মদ রোসলি বিন আব করিম নামে বিমানকর্মীর হাতে লাঞ্ছনার শিকার হন। ৫৪ বছর বয়সি তিন সন্তানের পিতা করিম তার শরীরের উধ্বাংশে এবং নিম্নাংশে স্পর্শ করেন বলে অভিযোগ করেন বুশনে।
এ বিষয়ে চ্যানেল সেভেনে একটি সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন বুশনে। চলন্ত বিমানে লাঞ্ছনার সময় তিনি কেন চিৎকার করে বিষয়টি জানাননি, এমন প্রশ্নেরও ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি।

তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছিল সে সেবা করতেই এসেছে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর মূল ঘটনা বোঝা যায়।
বুশনে বলেন, ‘সে আমার পা ম্যাসেজ শুরু করেছিল। এতে আমি খুবই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। আর আমি শুধু বিমান থেকে নেমে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলাম।’
তিনি জানান, যৌন আক্রমণের সময় তিনি ভয়ে স্থবির হয়ে পড়েছিলেন। ফলে অন্য কেউ বিষয়টি বুঝতে পারেনি। তবে কম্বলের নিচেই সে ব্যক্তির লাঞ্ছনার আংশিক ভিডিওচিত্র ও একটি মুখোমুখি সংলাপ আইফোনে ধারণ করেছেন বলে জানান রোসলি।
এমএইচ২০ বিমানটি ৪ আগস্ট প্যারিসে নামার পরে রোসলি পুলিশের কাছে তার অভিযোগ জানান। এরপর পুলিশ লাঞ্ছনাকারীকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার পর ওই বিমানকর্মী দাবি করেন, তাঁর উদ্দেশ্য ভালো ছিল। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে না জানাতে বুশনির কাছে অনুরোধ করেন এবং ক্ষমাও চান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে ফ্রান্সের কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস।