• শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

মর্গের ফ্রিজ নষ্ঠ-চার জঙ্গি ৪ বিদেশি’র লাশ পচে গলছে


প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ২৫ জুলাই ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭২ বার

এস রহমান    :  ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গের ফ্রিজ নষ্ঠ  হওয়ায় চার জঙ্গি ও চার বিদেশী নাগরিকের লাশ পচে morg-www.jatirkhantha.com.bdগলছে। মর্গের দায়িত্বরতরা এ ঘটনা কর্তৃপক্ষকে জানালেও তারা রহস্যজনক নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। এদিকে
বিদেশি’র লাশ পচে  গলছে এমন রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ সারাদেশের হাসপাতালের মর্গের অকেজো ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশন (এসি) মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মাহফুজুর রহমান মিলনের করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী মো. রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আমিনুল হক।

স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলীর প্রতি এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জানাতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গের অকেজো ফ্রিজ, এসি সচল করার জন্য মেরামত ও পুনঃস্থাপনে দরকারি পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

আসছে ৪ সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিকল্পনা সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পরিচালক, প্রধান প্রকৌশলী, সুপারিনটেন্ডিং প্রকৌশলী (সার্কেল-১), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধানকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকেম মেডিকেল সূত্র বলেছে , ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ২৫ বেওয়ারিশ মরদেহে পচন ধরেছে। মর্গের যে কর্মীরা প্রতিনিয়ত পচাগলা এসব মৃত মানুষ দেখে অভ্যস্ত তারাও এ বেহাল দশা আর সহ্য করতে পারছেন না।

মর্গের ইনচার্জ সেকান্দার জানান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গের ৫টি ফ্রিজের মধ্যে ৩টি নষ্ট। একটি ফ্রিজে ৪টি মরদেহ রাখা যায়। দু’টি ফ্রিজে ৪ জঙ্গির ও ৪ বিদেশি নাগরিকের মরদেহ রাখা আছে।

আর স্বামী হিন্দু না মুসলিম-এ নিয়ে দু’স্ত্রী দাবিদার হওয়ায় আদালতের নির্দেশে একটি মরদেহ সাড়ে ৩ বছর ধরে মর্গে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। মর্গের ৪টি এসি নষ্ট প্রায় এক বছর ধরে। প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে ৪টি অজ্ঞাত মরদেহ এসে জমা হয় মর্গে।