ভোট হলে আতিক ভাই জিতবে:ইঞ্জি মেহেদী
বিশেষ প্রতিনিধি : হাইকোর্টের রিটে ঢাকার উত্তরের মেয়র নির্বাচনের ভোট থমকে গেলেও দমে যাননি ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম। গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকারের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করার আগে থেকেই তিনি ভোট যুদ্ধে নেমে মানুষের ঘরে ঘরে নৌকার বার্তা পৌছে দিচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলামের যখন নৌকার মাঝি হওয়ার স্বীকৃতি পান তখন সারাদেশের ব্যবসায়ীরা যেন উৎফুল্ল। সবার কন্ঠে একটি বাক্য উচ্চারিত হচ্ছিল ‘পারফেক্ট লোক আতিক ভাই নৌকা মার্কার জয় চাই’।
নৌকার মাঝি আতিক ভাই কেমন লোক জানতে আমরা জাতিরকন্ঠের পক্ষ থেকে দেশের একাধিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী’র সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের মধ্যে বাংলাদেশের ঐহিত্যবাহী প্রকাশনা অমিকন পাবলিশিং হাউজের চেয়ারম্যান, সিআইএস-বিসিসিআই পরিচালক এবং সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির আন্তজার্তিক পরিচালক ইঞ্জি. মেহেদী হাসান জানান, ‘ক্লিন ইমেজ’র এর অধিকারী বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম একজন অমায়িক মানুষ। আওয়ামী লীগ উত্তরের মেয়র এর উপ-নির্বাচনে তাঁকে মনোনিত করে ঢাকার মানুষের মনের প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছে।
তাছাড়া আতিক ভাই এর সাথে আমার পরিচয় বহু বছর আগে, ইউরোপে। তাঁর কোন পিছুটান নেই, সফল একজন মানুষ, গোটা পৃথিবী দেখেছেন। সৎ, সাহসী, উদ্যমী, পরিশ্রমী, অমায়িক ও অসম্ভব মেধাবী মানুষ তিনি। আমি তাকে দেখেছি সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। আমিও সবার মতোই ১০০ ভাগ বিশ্বাস করি তিনি পারবেন ঢাকাকে একটা আদর্শ রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে যেমনটি ঢাকাবাসী চান। ভোট হলে আতিক ভাই’ই জিতবেন।
এছাড়াও আতিক ভাই ঐতিহ্যবাহি পরিবারের পরিচ্ছন্ন ব্যবসায়ীক নেতা এবং সামাজিক অবস্থানের কারণেও তিনি এগিয়ে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের মানুষ তিনি। তাঁর ভাই তোফাজ্জল ইসলাম প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি বেঞ্চ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় দেন। আতিকুল ইসলামের আরেক ভাই মইনুল ইসলাম সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রধান ছিলেন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই বিডিআর বিদ্রোহের যে ঘটনা ঘটে, সে সময় ওই ঘটনা নিরসনে মইনুল ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বিডিআর নাম পরিবর্তন করে বিজিবি রাখার ক্ষেত্রেও তার অবদান রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউবিও)’র প্রেসিডেন্ট কাজী এনায়েত উল্লাহ জানালেন, তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি হিসেবে ২০১৩ থেকে ২০১৫ অভাবনীয় দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন আতিকুল ইসলাম। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি কাটিয়ে উঠতে আতিকুল ইসলামের অবদান দেশে বিদেশে স্বীকৃত ও সমাদৃত হয়। তিনি আরো বলেন, ঢাকার বিভিন্ন মহল এবং সমাজের সর্বস্তরের শ্রেণীপেশার মানুষের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছেও আতিকুল ইসলামের রয়েছে বিশেষ জনপ্রিয়তা।
বিশ্বব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশীদের ‘গ্লোবাল প্লাটফর্ম’ প্যারিস ভিত্তিক ‘বিশ্ব বাংলাদেশ সংস্থা’ তথা ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউবিও)’র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ২০১৬ সালের নভেম্বরে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ইউরোপীয় ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত ‘প্রবাসী বিশ্বসম্মেলন’ ১ম বাংলাদেশ গ্লোবাল সামিট সফল ও সার্থক করার পাশাপাশি ডাব্লিউবিও প্রতিষ্ঠায় মূখ্য ভূমিকা পালন করেন আতিকুল ইসলাম।
লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, শুধু আতিকুল ইসলাম নয়, আরো অনেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন? কিন্তু দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা প্রার্থী বাছাই ও প্রার্থীদের সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন তাঁকে।
এদিকে রাজনীতিতে চ্যালেঞ্জ কী কী এমন প্রশ্নে আতিকুল ইসলাম বলেন- ‘আমার ফ্যাক্টরিতে ১৯ হাজার শ্রমিক আছেন। তাঁদের দেখাশোনার দায়িত্ব আমার। কখন বেতন দিতে হবে, কেউ অসুস্থ হলে, উদ্যোক্তা হিসেবে আমাকে দায়িত্ব নিতে হয়, সেবা দিতে হয়। তেমনি যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁদের দায়িত্বও সেবা দেওয়া। উদ্যোক্তা ও রাজনীতিবিদের দায়িত্ব কিন্তু একই। আমি মনে করি, এই ১৯ হাজার শ্রমিকের যেমন সমস্যা আমি ঠিক করেছি, তেমনি ডিএনসিসিতে যত ধরনের সমস্যা থাকুক না কেন, সব জনগণকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেখিয়ে দিতে চাই, অবশ্যই সবাই কাজ করতে পারলে যত সমস্যা থাকুক না কেন, আমরা সমাধান করতে পারব।’