• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বেসিক ব্যাংককে বাঁচানোর চেষ্ঠা-দুদকের ওপর ক্ষুদ্ধ সংসদীয় কমিটি


প্রকাশিত: ৮:৪৭ পিএম, ২৭ আগস্ট ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৯ বার

Abdul_Hye_Bacchu-www.jatirkhantha.com.bdবিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা:  বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে দাবি করা হয়েছে, তদন্তের নামে বেসিক ব্যাংকের দুর্নীতিবাজদের রক্ষার চেষ্টা করেছে দুদক। কমিটি প্রচলতি আইনে ওই সকল চিহ্নিত দুনীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, নাজমুল হাসান, টিপু মুনশি, ফরহাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী ও মো. শওকত চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি, দুদক বেসিক ব্যাংক নিয়ে যে তদš— করেছে, সেখানে প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের দায়ী করা হয়নি। বরং তাদের রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। দুদক যদি সেটা করে থাকে তাহলে আমরা আবারো তদন্ত করবো। সেই তদন্তের  ফলাফল জাতির সামনে প্রকাশ করবো। বিবেকের তাড়নায় আমাদের সেটা করতে হবে।’

basicতিনি আরো বলেন, ‘আমরা ব্যাংকটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ও ম্যানেজমেন্টের কাছে একটি প্রতিবেদন চেয়েছি। ওই সময় বেসিক ব্যাংকে যেসব অনিয়ম হয়েছে সেগুলো ব্যাংক কোম্পানি আইনসহ প্রচলিত আইনের কোন কোন বিষয় লংঘন করেছে তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনের বিধান অনুযায়ী দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।’

সংসদীয় কমিটির কার্যপত্রে বলা হয়, বেসিক ব্যাংকে ২০১০-১৪ সালে সংঘটিত অনিয়ম ঋণ জালিয়াতির বিবরণ নিয়ে ১৩টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- জাল ও ভুয়া সনদের মাধ্যমে চাকরি দেয়া, কোনো কোনো সভায় ৩০০ থেকে ৩৫০টি পর্যন্ত এজেন্ডা অন্তর্ভুক্ত করে পর্ষদসভা আহ্বান বা এজেন্ডা বহির্ভুত বিষয় কোনো আলোচনা ছাড়াই অনুমোদিত হিসেবে কার্যবিবরণীতে অন্তরভুক্তকরণ, অপ্রয়োজনে অধিক সংখ্যায় গাড়ি ক্রয় এবং পর্ষদ সদস্যদের আত্মীয়দের অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া।

এছাড়া ৭৭টি কোম্পানিকে ঋণ দেয়া হয়েছে যাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে তদন্ত করে এসব অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।