• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্বজিৎ হত্যাকারী ৮ জনের মধ্যে ২ জনের ফাঁসি বহাল


প্রকাশিত: ৬:১৪ পিএম, ৬ আগস্ট ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৮ বার

হাইকোর্ট রিপোর্টার :  রাজধানীর পুরান ঢাকায় নিহত দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় বিচারিক আদালত ক্ষমতাসীন দল bissojit-www.jatirkhantha.com.bdআওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের যে ৮ জন নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন তার মধ্যে ৬ জনকে রেহাই দিয়ে অন্য সাজা দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে  অন্য দুই জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে- রফিকুল ইসলাম শাকিল ও রাজন তালুকদারের। আর মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন- সাইফুল ইসলাম ও কাইয়ুম মিঞা টিপু। মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে- মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন ও  মীর মো. নূরে আলম লিমন। এছাড়াও বিচারিক আদালতের দেয়া যাবজ্জীবন থেকে খালাস পেয়েছেন- এএইচএম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা।

রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন না করায় বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত বাকি ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। তারা হলেন, খন্দকার ইউনুস আলী, তারেক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন।
গত ১৭ জুলাই এই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৬ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়।

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত ওই হত্যা মামলায় ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক। এরপর হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। সেই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে আসামিরা।

ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার এবং মীর মো. নূরে আলম লিমন।

আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা ছিলেন- এএইচএম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। ওই রায়ে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়। এদের মধ্যে রাজন তালুকদার ও নূরে আলম পলাতক। বাকি ছয়জন কারাগারে আছে।

ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ জন হলেন- এ এইচ এম কিবরিয়া, গোলাম মোস্তফা, খন্দকার ইউনুস আলী, তারেক বিন জোহর, আলাউদ্দিন, ওবায়দুল কাদের, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল আমিন শেখ, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, কামরুল হাসান ও মোশাররফ হোসেন। এদের মধ্যে এস এম কিবরিয়া ও গোলাম মোস্তফা কারাগারে আছে। বাকি ১১ জন পলাতক।

২০১৩ সালের ৫ মার্চ ছাত্রলীগের ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নির্মমভাবে খুন হন বিশ্বজিৎ দাস।