• বৃহস্পতিবার , ১৮ এপ্রিল ২০২৪

বিমান চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে জাতীয় পার্টির ওয়াকআউট


প্রকাশিত: ১১:৫৫ পিএম, ২৩ নভেম্বর ১৪ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৫ বার

 

Biman20140122135639স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:
বিমান বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি আজ রোববার সন্ধ্যায় ওয়াকআউট করেছে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঘন ঘন সোনা চোরাচালানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা ওয়াকআউট করে।

ওয়াকআউটকারীদের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সাংসদ স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাও ছিলেন।
নামাজের বিরতির পর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় সরকারি জোট জাসদের মঈন উদ্দীন খান বাদল আলোচনা শুরু করেন। তিনি বলেন, নবম সংসদে বিমান মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি বিমানের সার্বিক বিষয় তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছিল। সেই প্রতিবেদন নিয়ে সংসদে কোনো আলোচনা হয়নি। তাই যদি হবে, তবে সংসদীয় কমিটি কেন রাখা হয়েছে।

দেশে কিছু মানুষ সুপার সিটিজেনের সুবিধা ভোগ করেন বলে মন্তব্য করেন মঈন উদ্দীন খান। তিনি বলেন, এঁদের চাকরির মেয়াদ কখনো শেষ হয় না। ১৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা-ফ্রার্ঙ্কফুট রুটে উড়োজাহাজ চলে। কে এই রুটের পরিকল্পনা করেছে। সংসদীয় কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানের এই চেয়ারম্যানকে ‘অথর্ব’ বলা হয়েছিল। এঁরাই সফল সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
এরপর জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে বিমানের চেয়ারম্যানকে “চোর” আখ্যায়িত করা হয়েছিল। কমিটির ওই প্রতিবেদন সংসদে প্রকাশ করা হোক। প্রতিবেদনে কী আছে, তা আমরা জানতে চাই।
এ সময় ফিরোজ রশীদ বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের দিকে তাকিয়ে বলেন, মন্ত্রীকে বলতে হবে, তিনি বিমানের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করবেন কি না। নইলে আমরা ওয়াকআউট করব।

জবাবে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এ বিষয়ে নোটিশ দিলে তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। এভাবে হঠাৎ দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিলে তাতে কোনো সুরাহা হয় না। এরপর ফিরোজ রশীদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির সদস্যরা ওয়াকআউট করেন। তবে পাঁচ মিনিট পর তাঁরা আবার সংসদে ফিরে আসেন।
জাতীয় পার্টির ওয়াকআউটের পর স্বতন্ত্র সাংসদ তাহজিব আলম সিদ্দিকীও একই কারণে ১০ মিনিটের জন্য ওয়াকআউট করেন।

সবার শেষে স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মো. সেলিম বলেন, একে একে সবাই চলে গেল। আমিই শুধু বাকি আছি। আমার কথা হলো বিমানের বিড়াল কেন মারা হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি মন্ত্রীর কাছে ৩০০ বিধিতে ব্যাখ্যা দাবি করছি। যদিও আমরা জানি, মন্ত্রী চাইলেও তিনি কিছু করতে পারবেন না।