• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিমানবাহিনীকে আধুনিক দক্ষ বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলা হবে: রাষ্ট্রপতি


প্রকাশিত: ১০:২১ পিএম, ১১ নভেম্বর ১৫ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১২ বার

Biman bahini-president-www.jatirkhantha.com.bdস্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার:   রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বিমানবাহিনীকে আধুনিক জ্ঞান সমৃদ্ধ দক্ষ বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলা হবে। এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করতে হবে।’বুধবার কক্সবাজারে বিমানবাহিনীর ওয়াইএলসি-৬ এডি র‌্যাডার অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর রয়েছে গৌরবময় এক ইতিহাস। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এ বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজনীয় যুদ্ধ উপকরণ ছাড়াই শুধুমাত্র একটি এ্যালুয়েট হেলিকপ্টার, একটি ডিসি-৩ ও একটি অটার বিমান নিয়ে যাত্রা শুরু করে।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুঃসাহসিক বৈমানিকেরাই প্রথম বাংলার আকাশসীমায় প্রবেশ করে শত্রুর উপর সফল আক্রমণ পরিচালনা করে যা ছিল আমাদের বৈমানিকদের অসাধারণ দক্ষতার নিদর্শন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিমানবাহিনীর সদস্যদের এ সাহসিকতাপূর্ণ অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিমানবাহিনীকে আধুনিক বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বিমানবাহিনী এখন আধুনিক জ্ঞানে সমৃদ্ধ দক্ষ বাহিনী। বিমানবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে অত্যাধুনিক র‌্যাডার। কক্সবাজারে বিমানবাহিনীতে র‌্যাডার স্থাপনের ফলে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা সুদৃঢ় হয়েছে। সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা জোরদার হয়েছে। গভীর সমুদ্রগামী জাহাজও নিরাপত্তার আওতায় আসবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান। সরকার এই বাহিনীর সাংগঠনিক উন্নয়ন এবং পেশাগত নৈপূণ্য বৃদ্ধির জন্য যুদ্ধবিমান ও প্রয়োজনীয় যুদ্ধ উপকরণ সংযোজনের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে।

আধুনিকায়নের ধারাবাহিকতায় আজকের এই র‌্যাডার সংযোজনের মাধ্যমে বিমানবাহিনী দেশ ও জাতির অগ্রগতি ও নিরাপত্তায় আরও সক্রিয় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যেকোনো বাহিনীর সাফল্যের জন্য পেশাগত দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই।

দক্ষতা একদিকে যেমন আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে তেমনি স্বীয় বাহিনীর জন্য বয়ে আনে সুনাম ও মর্যাদা। তাই উন্নত ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে আপনাদের গড়ে উঠতে হবে একজন দক্ষ বৈমানিক, প্রকৌশলী, কন্ট্রোলার ও আদর্শ বিমান সেনা হিসেবে। এজন্য প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণ, কঠোর পরিশ্রম ও প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠোরভাবে শৃঙ্খলা মেনে চলা।

মনে রাখবেন পরিশ্রম ও সততার কোনো বিকল্প নেই। সুদৃঢ় মনোবল, কঠোর পরিশ্রম, কর্তব্যনিষ্ঠা, সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও দেশপ্রেমই আপনাদেরকে পেশাগত জীবনে উৎকর্ষের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। দেশসেবা এবং জনগণের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিঃস্বার্থ ও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাবেন, আপনাদের কাছে দেশবাসীর এটাই প্রত্যাশা।’

তিনি বলেন,  ‘ইতিমধ্যে আমাদের বিমানবাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করে সুনাম ও দক্ষতা অর্জন করেছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’

দুপুর সোয়া ১২ টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ কক্সবাজার বিমান বাহিনী ঘাটিতে পৌঁছালে বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এসরারসহ সামরিক বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রপতি বিমানবাহিনীর কক্সবাজার ইউনিটে র‌্যাডার অন্তর্ভুক্তির আদেশ প্রদান করেন। পরে উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে রাষ্ট্রপতি র‌্যাডারের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। বিকালেই তিনি ঢাকায় রওয়ানা হয়েছেন।