• বুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বিবিএ ছাত্রী ধর্ষণকারী ইউআইটিএসের ধর্ষক শিক্ষক সহযোগীসহ পাকরাও


প্রকাশিত: ১:৪৩ পিএম, ২ আগস্ট ১৭ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৩ বার

রাজশাহী থেকে আব্দুর রশিদ  :   রাজশাহীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে rrrঅপর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও তার এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (ইউআইটিএস) এর রাজশাহী শাখার সাবেক শিক্ষক সামশুল আলম বাদশা ও নগরীর গোরহাঙ্গা এলাকার ইজিটাচ কম্পিউটার দোকানের মালিক আবু ফায়েজ নাহিদ।

এদের মধ্যে বাদশার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইল এবং নাহিদের বাড়ি একই উপজেলার হাসনিপুর গ্রামে। তারা দুইজনেই রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলাকায় বসবাস করেন। এদিকে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীকে শাহমুখদুম থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। বুধবার তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানোর কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।

শাহমুখদুম থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন তুহিন জাতিরকন্ঠ কে জানান, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ পাস করে বের হয়ে চাকরির চেষ্টা করছিলেন। তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক বাদশার সঙ্গে ওই ছাত্রীর ফেসবুকে পরিচয় হয়।

গত ৩১ জুলাই চিকিৎসার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীতে আসেন ওই ছাত্রী। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা শেষে দুপুরে তিনি বাদশাকে ফোন করেন।এসময় বাদশা তাকে নগরীর গৌরহাঙ্গা এলাকায় তার বন্ধু নাহিদের দোকানে (ইজিটাচ কম্পিউটার) ডেকে নেন। ওই ছাত্রী দোকানে গেলে বাদশা তাকে ‘বান্ধবী’ হিসেবে নাহিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।

এরপর দুপুরে খাবারের কথা বলে নগরের শাহমুখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকার গ্রিন গার্ডেন নামের একটি বাগান বাড়িতে (গেস্ট হাউজ) নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে রেখে প্রথমে বাদশা ও পরে নাহিদ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই ছাত্রীকে হোটেলে ফেলে রেখে চলে যায় তারা।

পরে হোটেল কর্মচারীদের সহযোগিতায় রাত ৮টার দিকে শাহমুখদুম থানায় গিয়ে ধর্ষণ মামলা করেন। মঙ্গলবার ভোরে গৌরহাঙ্গা এলাকা থেকে পুলিশ বাদশা ও নাহিদকে গ্রেফতার করে। বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই ছাত্রীর জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।