• শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

বিউগলের সুরে সুরে মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে পতাকা উত্তোলন


প্রকাশিত: ১০:৩৯ এএম, ১৭ এপ্রিল ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৬ বার

17-mujibnagor-www.jatirkhantha.com.bd.4
মেহেরপুর প্রতিনিধি :  জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরের মুজিবনগর আমবাগানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সূচনা হয়েছে আজ। সোমবার সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিউগলের সুরে সুরে মুজিবনগর স্মৃতি সৌধে পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ।এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

দিনের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পুস্পস্তবক অর্পণের পর আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় মুজিবনগর দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. নাসিমের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ, খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন দোদুলসহ বেশ কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মুজিবনগরে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সূচনাপর্বের এই দিনটিতে তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার (বর্তমানে জেলা) বৈদ্যনাথতলার (বর্তমান মুজিবনগর) নিভৃত এক আমবাগানে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছিল স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী বিপ্লবী সরকার। এ আমবাগানকে পরে ‘মুজিবনগর’ নামকরণ করে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়।

‘মুজিবনগর সরকার’খ্যাত এ বিপ্লবী সরকার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশ্ব  জনমত গঠনসহ রাজনৈতিক-কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং ভারতে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১ কোটি শরণার্থীর পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে।

১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। তবে পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে করা হয় অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।

সেদিন বিপ্লবী সরকারের মন্ত্রিপরিষদের আনুষ্ঠানিক শপথ ছাড়াও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ ও মুক্তিবাহিনীর মার্চপাস্ট অনুষ্ঠিত হয়। এর এক সপ্তাহ আগে ১০ এপ্রিল জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র অনুমোদন এবং বিপ্লবী সরকার গঠন করেন।