• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বাড্ডায় ক্রসফায়ার-স্বজনদের বিচার দাবি


প্রকাশিত: ৭:৩০ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২১৭ বার

মেডিকেল রিপোর্টার  :  রাজধানীর বাড্ডায় ক্রসফায়ারে নিহত দুই যুবকের পরিচয় মিলেছে। নিহত এক যুবকের নাম badda.www.jatirkhantha.com.bd.33আল-আমিন (৩২), অপরজনের নাম সাদ্দাম হোসেন (২৫) পিতা হাসমত হোসেন। বাসা- ১৭৬ পূর্ব উলন, জমিদার লেন, রামপুরা। এদিকে বাড্ডায় ক্রসফায়ার-নিয়ে আল badda.www.jatirkhantha.com.bdআমিন ও সাদ্দামের স্বজনরা প্রশ্ন তুলেছেন। বিশেষ করে নিহত সাদ্দামের বাবা দাবি করেছেন, সাদ্দামের নামে কোন মামলা নাই, ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলেছে। আমরা এর বিচার চাই।

নিহত আল-আমিন পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকার মৃত. রুস্তম আলীর ছেলে বলে জাতিরকন্ঠকে জানিয়েছে তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার। নিহত আল আমিনের ৩ মাস বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ৬ বছর আগে তাদের বিয়ের পর প্রথমে গাজীপুরের বড় বাড়ি এলাকায় তারপর ঢাকার দক্ষিণ খানের তাঁতীবাড়ি এলাকায় বসবাস করছিল।

খাদিজা আক্তার জাতিরকন্ঠকে জানান, তার স্বামী বিভিন্ন এলাকায় মেলার অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের খেলনা বিক্রির ব্যবসা করেন। ১ ডিসেম্বর (শুক্রবার) জুম্মার নামাজের পর বাসায় এসে বের হয়ে স্থানীয় একটি হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে যান। ওই হোটেল থেকেই ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়।

তারপর থেকে তাকে কোথায় নিয়েছিল, কেন নিয়েছিল কোনো ভাবেই জানতে পারেননি।তিনি বলেন, আজ টিভির খবরে জানতে পেরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) মর্badda.www.jatirkhantha.com.bd.2গে এসে স্বামীর লাশ সনাক্ত করেন বলে জানান তিনি।

ওদিকে শুক্রবার দুপুরে বাড্ডায় নিহত অপর যুবকের স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে এসে তার পরিচয় সনাক্ত করেন। নিহতের নাম সাদ্দাম হোসেন (২৫) পিতা হাসমত হোসেন। বাসা- ১৭৬ পূর্ব উলন, জমিদার লেন, রামপুরা এলাকার।

নিহত সাদ্দামের বাবা হাসমত হোসেন জানান, সাদ্দাম স্ত্রী লিজা ও ৪বছরের মেয়ে সোহানা’কে নিয়ে গাজিপুর জয়দেবপুর উপজেলার মালেকের বাড়ি থাকতো। সেখানে একটি মোম, মশার কয়েল কারখানা চালাতো সাদ্দাম।

তিনি জানান, গত ২৪ নভেম্বর সাদ্দাম স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে কুমিল্লা কোটবাড়ি এলাকায় তার স্ত্রীর বড়বোনের বাসায় বেড়াতে যায়। ওইদিনই সন্ধ্যায় ডিবি পরিচয়ে ৪টি গাড়ি নিয়ে ওই বাসা থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলো সে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ এলাকার লোকমারফত ক্রসফায়ারের খবর শুনে মর্গে এসে আমার ছেলের লাশ দেখতে পাই।নিহত সাদ্দামের বাবার অভিযোগ, সাদ্দামের নামে কোন মামলা নাই, ডিবি পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলেছে। আমরা এর বিচার চাই।

 

Save