• বুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪

বাটার চায়না জুতা জালিয়াতি সংসদীয় কমিটির ক্ষোভ


প্রকাশিত: ৩:০১ এএম, ১৫ জুন ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫৭ বার

সংসদ রিপোর্টার  :   চীন থেকে নিম্ন মানের জুতা কিনে এনে বাংলাদেশে বাজারজাত করায় বাটা জুতা 1কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠিত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১২তম বৈঠকে এ ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি মুন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, মো. ইসরাফিল আলম, আনোয়ারুল আবেদীন খান, ছবি বিশ্বাস, মো. রুহুল আমিন এবং মো. রেজাউল হক চৌধুরী অংশ নেন। বৈঠকে বাটা থেকে শ্রমিক ছাঁটাই নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

বৈঠকে বাটা সু কোম্পানির শ্রমিক ছাঁটাই বিষয়ে ১ নম্বর উপকমিটির তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে ও রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় নিহত/আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সর্বশেষ তথ্য ও এসংক্রান্ত মামলাগুলোর অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

কমিটি বাটা সু কোম্পানির শ্রমিকদের মূল বেতন বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।বাটার শ্রমিকদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যে স্বার্থান্বেষী বহিরাগত পক্ষ ভয়ভীতি প্রদর্শন, যে আইনি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে বাটা সু কোম্পানির স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সাব-কমিটি সুপারিশ করে।

অভিযোগকারীদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে বাটা সু কর্তৃপক্ষের সাথে আপস করে তাদের সবেইকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার জন্য বাটা কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানোর জন্য সাব-কমিটি সুপারিশ করে।
সাব-কমিটি বাটা সু কোম্পানির কারাখানাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় এলইডি লাইট ব্যবহার এবং ধোঁয়া নির্গমনের জন্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করে।

বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ভুক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্দেশ্যে পাওয়া অনুদানের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের ২২ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার ৭২০ টাকা, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট ফান্ডের সর্বমোট ২৯ কোটি ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ৮৭২ টাকা ও প্রাইমার্ক থেকে পাওয়া ১০১ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৪৬১ টাকা।

এ ছাড়া বৈঠকে আরো উল্লেখ করা হয়, রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কর্তৃক মোট ১১টি মামলা শ্রম আদালতে দায়ের করা হয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।