• শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বজ্রাঘাতে আরো ২১ প্রাণহানি


প্রকাশিত: ৩:৫৩ এএম, ১৪ মে ১৬ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৫ বার

বিশেষ প্রতিবেদক  :  দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রাঘাতে গতকাল শুক্রবার আরো ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 0নিহতদের মধ্যে রয়েছে শিশু, ছাত্র, দিনমজুর ও কৃষক। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রাঘাতে ৩২ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত দুই দিনে ৫৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।

গতকাল বজ্রাঘাতে জয়পুরহাট, নওগাঁ, ভূঞাপুর, সুনামগঞ্জ, রাজবাড়ী ও কিশোরগঞ্জে দুজন করে মারা গেছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম, গোয়ালন্দ, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, সাভার, মাগুরা, ধামরাই ও যশোরে মারা গেছে একজন করে। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার সতীঘাটা ও ক্ষেতলাল উপজেলার হাওয়ার বিল এলাকায় জমিতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রাঘাতে দুই দিনমজুরের মৃত্যু হয়। তাঁরা হলেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বর উপজেলার ঢেকেরপার গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৫) ও ক্ষেতলাল উপজেলার ঘুগইল গ্রামের মানিক হোসেন (৩৮)।

নওগাঁর পোরশা উপজেলায় বজ্রাঘাতে ইব্রাহীম (১৩) নামের এক শিশু মারা গেছে। সে উপজেলার নিতপুর কপালীর মোড় দীঘিপাড়া গ্রামের গোলজারের ছেলে। এলাকাবাসী জানায়, গতকাল সকালে বাগানে আম কুড়াচ্ছিল ইব্রাহীম। সেখানে বজ্রাঘাতে তার মৃত্যু হয়। প্রায় একই সময় মহাদেবপুর উপজেলার ধনজইল গ্রামে মৃত্যু হয় কৃষক শচীন মুহুরির (৪৮)। এ সময় তিনি জমিতে কৃষিকাজ করছিলেন।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের খরক গ্রামে আনিছুর  রহমান (১১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আনিছুর ক্ষেত থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রাঘাতের শিকার হয়। এ ছাড়া একই সময়ে ভূঞাপুর পৌর এলাকার পলশিয়া গ্রামে মারা গেছে মোখলেছুর রহমানের মেয়ে লিমা (১৪)।

রাজবাড়ীর কালুখালীতে বজ্রাঘাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়া গ্রামের বিল্লাল ব্যাপারী (৩৩) এবং ভাগলপুর গ্রামের জাহের সেখ। এর মধ্যে বজ্রপাতের সময় বিল্লাল সেখ পাটক্ষেতে সেচ দিচ্ছিলেন আর জাহের মারা যান ধান কাটতে যাওয়ার সময়।

কিশোরগঞ্জে বজ্রাঘাতে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নে মৃত্যু হয় আরমান মিয়ার। আর ইটনা উপজেলার শিমুলবাগে মৃত্যু হয়েছে তারু মিয়ার। আরমানের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার গগড়া মোজাফফরপুর গ্রামে।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বজ্রাঘাতে আকাশ (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে সুজানগর গ্রামের মইনুদ্দিনের ছেলে। গতকাল বিকেলে ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকায় মৃত্যু হয় তার।গতকাল দুপুরে নোয়াখালীর সদর উপজেলার খলিলপুর গ্রামে বজ্রাঘাতে সবুজ (৩০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আহত হয়েছে তাঁর ছেলে সুমন (৬)। এলাকাবাসী জানায়, জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রাঘাতের শিকার হন সবুজ।

চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে বজ্রাঘাতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের চাচাতো ভাই আমজাদ আমীন (২৯) মারা গেছেন। গতকাল সকালে বারুণী স্নান ঘাট বেড়িবাঁধ এলাকায় মাছের খামার দেখতে গিয়ে বজ্রাঘাতের শিকার হন তিনি।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে গতকাল বজ্রাঘাতে সোবহান সরদার (৪৫) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। তিনি উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ওমেদ বেপারীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বজ্রপাতের সময় পাটক্ষেতে আগাছা পরিষ্কার করছিলেন তিনি।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার খোয়াই নদীর রেমা খেয়াঘাটে বজ্রাঘাতে নুর ইসলাম (৫০) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।সাভার ও ধামরাইয়ে গতকাল শুক্রবার বজ্রাঘাতে এক স্কুল শিক্ষার্থীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে সাভার পৌর এলাকার ছায়াবীথি বালুর মাঠ এলাকায় এবং ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বজ্রাঘাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হাওর থেকে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুস সামাদ (৯) নামের এক শিশু মারা যায়। আর কামারখাল গ্রামে মৃত্যু হয় কৃষক আমীর আলীর।

মাগুরা সদর উপজেলার কাপাসহাটী গ্রামে গতকাল শুক্রবার বজ্রাঘাতে তুহিন শেখ (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তুহিন ওই গ্রামের হেলাল উদ্দিন শেখের ছেলে।এ ছাড়া যশোর সদর উপজেলার সুজলপুরে বজ্রাঘাতে ইয়ার আলী নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।