• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ফ্রিল্যান্সারদের সহজ শর্তে ঋণ দেবে সরকার


প্রকাশিত: ৭:১৯ পিএম, ৭ এপ্রিল ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭১ বার

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, তারা দেশের ফ্রিল্যান্সারদের সব ধরনের সহায়তা দেবেন। উৎসাহিত করবেন আউটসোর্সিংকে।

তিনি বলেছেন, ফ্রিল্যান্সার যাতে আয় বাড়াতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি পণ্য কিনতে পারে তার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাদেরকে দেওয়া হবে বিশেষ সনদ। আর এই সনদ জামানত রেখে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে।

সোমবার দুপুরে কারওয়ান বাজারের এসএমই ফাইন্ডেশনের কার্যলয়ে ‘আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সিং ও আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ২০১৯ সালের মধ্যে জিডিপিতে ১ শতাংশ অবদান রাখতে চায় সরকার। এর জন্য সারা দেশে ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার ও ৩৫ হাজার দক্ষ জনশক্তি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন

জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, সস্তা শ্রমমূলের কারণে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের পরবর্তী আইটির গন্তব্য। দেশে ইতোমধ্যে ২ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি উপজেলায় ফাইবার অপটিক সংযোগ নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে সব জেলাসহ ১৯৭টি উপজেলায় এই সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের আরও এগিয়ে নিতে একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে তারা খুব সহজে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন। ২০০৯  সালে ৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিলেন। যা এখন ২৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। সরকার এই খাতে সব ধরনের সহায়তা দেবেন বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আইটি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা জব্বার  উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ী সংগঠন থাকা দরকার বলে মনে করেন।

তিনি বলেন, যদি এই সংগঠন থাকে তবে উদ্যোক্তারা তাদের সব সমস্যা নিয়ে খুব সহজে কথা বলতে পারবেন। তাছাড়া এখান থেকে উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি।

এ সময় তিনি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বাংলাদেশে মেধাবীদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা সরকার এখনও পর্যন্ত কোনো উদ্যাগ নেয়নি। যদি কোনো উদ্যোক্তা কিছু আবিষ্কারও করে তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নীতিগত সহায়তা পায় না। তারা এটা উদ্ভাবন করে বরং বিপাকে পড়ে।

তিনি সরকারের সমালোচনা করে আরও বলেন, সরকার উপজেলা পর্যায়ে আউট সোর্সিংয়ের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করে কাজ করছে। তবে গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা চালু করতে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তাছাড়া তিনি তথ্য প্রযুক্তিখাতের সব সেক্টরকে উদ্যোক্তা তৈরির আওতায় আনার পরামর্শ দেন। তাছাড়া সরকারের নীতি নৈতিকতা, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও পৃষ্ঠপোষকতা থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে এসএমই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য লুনা সামসুদ্দোহা, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির সভাপতি ড.মাহফুজুল ইসলাম, বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান, এসএমই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ ইহসানুল করিম প্রমখ বক্তব্য রাখেন।