• শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে ভারতীয় নারীকে দেহতল্লাশির নামে নগ্ন করা হল


প্রকাশিত: ৩:৫৫ এএম, ২ এপ্রিল ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৬ বার

2222

ডেস্ক রিপোর্টার :  এ বার জাতিবিদ্বেষের শিকার হলেন এক ভারতীয় মহিলা। ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে। দেহতল্লাশির নামে নগ্ন করা হল ওই ভারতীয় মহিলাকে। তিনি বলার চেষ্টা করেছিলেন, সদ্যই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছে তলপেটে। সেই অস্ত্রোপচারের নথিপত্রও দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে তাঁকে চরম লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়।

বেঙ্গালুরুর ৩০ বছর বয়সী শ্রুতি বাসাপ্পার স্বামী আইসল্যান্ডের নাগরিক। গত সপ্তাহে বেঙ্গালুরু থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট হয়ে শ্রুতি যাচ্ছিলেন আইসল্যান্ডে। তাঁর স্বামী ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে শ্রুতিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন আইসল্যান্ডে। ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে যখন শ্রুতিকে নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে হেনস্থা হতে হচ্ছিল, তখন তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মীরা শ্রুতির স্বামীর কথাও ধর্তব্য বলে মনে করেননি।

অত্যন্ত ক্ষুব্ধ শ্রুতি তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন তাঁর তীব্র অসন্তোষের কথা। সবিস্তারে জানিয়েছেন, গত ২৯ মার্চ ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে তাঁকে যে ভাবে হেনস্থা হতে হয়েছে, সেই ঘটনাটার কথা। সেখানে শ্রুতি লিখেছেন, তাঁর সারা শরীর স্ক‌্যান করার পরেও সন্দেহ যায়নি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীদের। তাঁরা তাঁকে নগ্ন হতে বলে। তখন তিনি বলেন, তাঁর তলপেটে সদ্যই খুব বড় রকমের একটা অস্ত্রোপচার হয়েছে। কিন্তু নাছোড় নিরাপত্তা কর্মীরা তাঁর কোনও কথাই শুনতে চাননি। শ্রুতিকে তাঁরা পুরোপুরি নগ্ন হতে বাধ্য করেন।

টানা ৬ বছর ধরে ইউরোপে কাটানোর পরেও তাঁকে যে ভাবে হেনস্থা হতে হল ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে, তা নিয়ে যথেষ্টই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রুতি। লিখেছেন, ‘‘এটা জাতিবিদ্বেষেরই প্রমাণ। আমার স্বামী এসে পড়ায় বাড়তি হেনস্থার হাত থেকে শেষমেস কিছুটা রেহাই পাই। কিন্তু সেটাই আমাকে আরও বেশি করে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। আমার স্বামী ইউরোপীয়ান বলেই আমি আর ওদের কাছে বিপজ্জনক থাকলাম না!’’

শ্রুতি অভিযোগ দায়ের করেছেন ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। যদিও ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘দু’দিন হয়ে গেল। কেউ এখনও তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি।’