• মঙ্গলবার , ২৩ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর বিমানে নাশকতায় তৎপর ক্রিমিনালদের গোপন রাজনীতি ফাঁস


প্রকাশিত: ৫:৪৬ এএম, ২৩ ডিসেম্বর ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৩ বার

 

এস রহমান : প্রধানমন্ত্রীর বিমানে নাশকতায় তৎপর ক্রিমিনালদের গোপন রাজনীতি ফাঁস হয়েছে। pmগ্রেফতারকৃত ক্রিমিনালরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে নাশকতার চেষ্ঠা করেছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলেছে তদন্তে।

ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটির পিছনে আসামিদের কি উদ্দেশ্য ছিল? এবং ঘটনার সঙ্গে তারা ছাড়া অন্য কেউ জড়িত কি-না বা কোনো যোগসাজশ রয়েছে কি-না? এ বিষয়গুলো আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে বের করার চেষ্টা করবো।

মনুষ্য সৃষ্ট ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’র ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় বরখাস্তকৃত বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশলীসহ ৭ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। মামলায় উল্লেখ করা সাতজন ছাড়াও অপর দুই আসামি গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ দুই আসামি হলেন, বিমানের জুনিয়র টেকনিশিয়ান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও প্রকৌশলী কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান। গতকাল ঢাকার মহানগর হাকিম স্নিগ্ধা রানী চক্রবর্তী ওই আদেশ দেন। এর আগে বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব উল আলম গ্রেফতারকৃত আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে হাজির করেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট পরিদফতরের কর্মকর্তা। এরা হলেন, প্রকৌশলী কর্মকর্তা সামীউল হক, লুত্ফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন ভারপ্রাপ্ত) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী পরিদর্শন ও মান নিশ্চিতকরণ (ভারপ্রাপ্ত) এস এ সিদ্দিক ও মুখ্য প্রকৌশলী মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল (এম সি সি ভারপ্রাপ্ত) বিল্লাল হোসেন।

এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. আবদুল্লাহ আবু সাংবাদিকদের জানান, উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে সাত আসামির প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

ওদিকে গোয়েন্দা সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বহনে ফ্লাইটে ‘যান্ত্রিক ত্রুটি’র ঘটনায় গঠিত দুইটি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে নয় আসামির বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে ঘটনা সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ভিভিআইপি ফ্লাইট পরিচালনার পূর্বে উক্ত ফ্লাইটের জন্য নির্ধারিত উড়োজাহাজের অয়েল প্রেসার সেনসরের প্রয়োজনীয় মেরামতের কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়।

অয়েল প্রেসার সেনসর এবং বি-নাট’ এর অবস্থান কাছাকাছি। অয়েল প্রেসার সেনসর মেরামত চলাকালীন উত্ত কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপের ফলে (অয়েল প্রেসার সেনসরের পাশে) বি-নাট ঢিলা করা হয়েছে। এভাবে বি-নাট ঢিলা করা ছাড়াও মেরামত করার সময় সেখানে ধাক্কা দেয়া হয়েছে। এই কাজটি নাশকতামূলক। সিদ্দিকুর রহমান সরাসরি মেরামত কাজে জড়িত ছিলেন।

এস.এম রোকুনুজ্জামান মেইনটেইন্স রিলিজ বইয়ে স্বাক্ষর করেন। সামীউল হক অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমানকে নিযুক্ত করেন। লুত্ফর রহমান মেরামত কাজের সময় সশরীরের উপস্থিত থাকলেও দায়িত্ব পালন করেননি। একই ভাবে মিলন চন্দ্র বিশ্বাসও দায়িত্ব পালন করেনি। জাকির হোসেন সকল তথ্য সংগ্রহে নিয়োজিত ছিলেন। দেবেশ চৌধুরী ভিভিআইপি ফ্লাইটের ভিভিআইপি তল্লাশি ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেননি।

এসএ সিদ্দিক ভিভিআইপি ফ্লাইটে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর অনুযায়ী তিনি তার দায়িত্ব পালন করেননি। ভিভিআইপি ফ্লাইটে চার সদস্যের একটি রক্ষণাবেক্ষণ টিম গঠন না করেই বিল্লাল হোসেন দায়িত্ব পালন করেছেন। এমন সব অভিযোগ আনা হয়েছে ওই ৯ আসামির বিরুদ্ধে।