• শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে নির্মাণ শ্রমিককে গুলির অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে


প্রকাশিত: ৬:৩৫ পিএম, ৩ এপ্রিল ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৮ বার

মনিরামপুর সংবাদদাতা .যশোর   :   নির্মাণ শ্রমিকের পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করার অভিযোগ 1উঠেছে যশোরের মনিরামপুর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দিগদানা গ্রামে একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবি, বন্দুক ঠেকিয়ে নয়, গোলাগুলিতে সন্ত্রাসীর পায়ে গুলি লেগেছে।

গুলিবিদ্ধ নির্মাণশ্রমিকের নাম ইসরাফিল গাজী (৪০)। তিনি মনিরামপুর উপজেলার চাকলা কাঁঠালতলা গ্রামের নূর মোহম্মদ গাজীর ছেলে। তিনি দিগদানা এলাকায় থেকে ইমারত নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন। পুলিশ হেফাজতে তাঁকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আজ রোববার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, তিনজন পুলিশের পাহারায় ইসরাফিলকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।এ প্রসঙ্গে ইসরাফিল গাজী জাতিরকন্ঠকে বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে দিগদানা গ্রামের শহিদুলের চায়ের দোকানে বসেছিলাম। হঠাৎ পুলিশ এসে আমার নাম–ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে ধরে পাশে নিয়ে ডান পায়ের হাঁটুর ওপরে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-খ সার্কেল) বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘ওই রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। মূলত ইসরাফিলসহ কয়েকজন নদীর তীরে বসেছিলেন। তাঁকে ধরতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে তাঁরা গুলি ছোড়েন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে একটি গুলি ইসরাফিলের পায়ে বিদ্ধ হয়।’

এএসপি বলেন, ইসরাফিল দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় তাঁর কাছ থেকে একটি পাইপগান ও বন্দুকের একটি গুলি উদ্ধার হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইসরাফিল বলেন, ‘জানা মতে, আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। কোনো অস্ত্রও আমার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়নি। পুলিশ অস্ত্র দিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’