• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পর্যটনের বিকাশ হলে জঙ্গিবাদ ও মাদক সমস্যা থাকবেনা-পর্যটনমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১০:৩৪ পিএম, ৩১ মার্চ ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭৪ বার

porjoton-www.jatirkhantha.com.bdস্টাফ রিপোর্টার :  জঙ্গিবাদ ও মাদক এই সময়ের তরুণদের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা বলে মনে করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তবে পর্যটনে বা ঘোরাঘুরিতে আগ্রহী হলে তরুণদের এসব দিকে ঝোঁকার প্রবণতা কমে আসবে বলেও মনে করেন তিনি।

আজ শুক্রবার ঢাকার রবীন্দ্রসরোবরে ‘২য় বাংলাদেশ ইয়ুথ টুরিজম ফেস্ট ২০১৭’–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মাসিক পর্যটন বিচিত্রার আয়োজনে বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠান উদ্বোধনের আগে প্রধান অতিথি রাশেদ খান মেনন তরুণদের পর্যটনে আরও বেশি আগ্রহী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের অভ্যন্তরে পর্যটকের সংখ্যা গত বছর ৯৮ লাখে পৌঁছেছে। বিদেশি আসাও বাড়ছে। দায়িত্বশীল পর্যটনের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দায়িত্বশীল না হলে প্রকৃতি নষ্ট হবে। ইতিমধ্যেই কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা তাই এসব স্থান সংরক্ষণের কথা ভাবছি।

মন্ত্রী বলেন, দেশের পর্যটন স্থানগুলোতে যেন ভালোভাবে যাওয়া যায়, যোগাযোগব্যবস্থা যেন ভালো হয়—সে কারণে আমরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসছি। অবকাঠামোগত সমস্যাগুলোও সমাধান করা হবে। তরুণেরা এগিয়ে এলে এই কাজগুলো আরও ভালোভাবে করা যাবে। মন্ত্রী বলেন, পর্যটনের বিকাশ হলে শুধু যে আর্থিক উন্নতি হবে তা–ই নয়, জঙ্গিবাদ ও মাদক সমস্যারও সমাধান হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী মো. নাসির উদ্দিন পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক মহিউদ্দিন হেলাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

দুই দিন এই উৎসবে ক্যাম্পিং, হাইকিং, ট্রাকিং, ক্লাইম্বিং, প্যারাসেইলিং, সার্ফিং, স্নোরকলিং, স্কুবা ডাইভিং, সাইক্লিংসহ বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার সরঞ্জাম নিয়ে স্টল দিয়েছে অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠান। আয়োজকেরা জানান, যুবসমাজকে পর্যটনশিল্পের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যেই এ আয়োজন।

অন্যদিকে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শুরু হওয়া পর্যটনবিষয়ক আরেক মেলা ট্রাভেল মার্ট শনিবার শেষ হচ্ছে। জাতীয় পর্যটন সংস্থা, বিমান সংস্থা, ট্রাভেল ও ট্যুর অপারেটর, হোটেল ও রিসোর্ট, পর্যটন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশ নিচ্ছে। মেলা উপলক্ষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসসহ বিভিন্ন এয়ারলাইনস নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছাড় দিচ্ছে।