• শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলবে ২০১৮ সালে-প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ৯:০৮ পিএম, ৪ জুন ১৪ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫১ বার

সংসদ প্রতিবেদক: ঢাকা ৪ জুন ২০১৪:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে সময় লাগবে চার বছর। ২০১৮ সালে এই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে আশা করা যায়। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সম্পর্কে স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মূল সেতুর কাজ চলতি বছরের জুন-জুলাইতে শুরু হবে। নির্মাণের জন্য চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কোম্পানিটি ১২ হাজার ১৩৩ কেটি টাকার দরপত্র জমা দিয়েছে।

রুস্তম আলী ফরাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যা অজুহাতে ও ব্যক্তিবিশেষের প্ররোচনায় বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে টাকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এটা করা হয়েছিল। কিন্তু এখন আমাদের যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে, তাতে আমাদের কে কী দেবে, সেদিকে তাকাতে হবে না। পদ্মার জন্য কারও কাছে যাব না। নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু হবে। সেতুর কাজ শুরু করতে যে অর্থ লাগবে, তা আগামী অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ রয়েছে। পর্যাপ্ত রিজার্ভ মজুদ রয়েছে। আমাদের রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের বেশি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই সেতু হবে বাংলাদেশের জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত। কারণ এর নিচ দিয়ে রেল চলবে, ওপরে গাড়ি চলবে। এটা বিশ্বের অনেক দেশে থাকলেও বাংলাদেশে এটাই প্রথম। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ ২০০১ সালে মাওয়ায় পদ্মা সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল। বিএনপি এসে সেটা পাটুরিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সে কারণে পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি সেলিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি যানবাহনের সেতু পারাপারে একটি নির্দিষ্ট মাপকাঠি থাকে। অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে পারাপারের কোনো সুযোগ নেই। সবাইকে নিয়ম মানতে হবে। যে ট্রাক নিয়ম ভঙ্গ করবে, তাদের প্রথমে জরিমানা এবং পরবর্তীতে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে। এরপর তাদের ফেরি দিয়ে চলাচল করতে হবে।

আবদুল মতিন খসরুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিনিয়োগের জন্য বিশ্বে বাংলাদেশই এখন সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা। কারণ এত কম খরচে বিশ্বের আর কোথাও শ্রম পাওয়া যাবে না। সে জন্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করাই আমাদের লক্ষ্য। দেশি-বিদেশি ও প্রবাসীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগ ও শিল্প কলকারখানা গড়ে তুলতে যে দেশ যে পরিমাণ জায়গা চাইবে, তাদের সেই পরিমাণ জায়গা দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে সাত বিভাগে সাতটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন ছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগে দুটি এবং যেখানে যেখানে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানে অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরের আগে বিকেল পাঁচটায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।