• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১২:০২ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫০ বার

কক্সবাজার প্রতিনিধি :  মিয়ানমার থেকে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা দেখতে উখিয়ার hasina-www.jatirkhantha.com.bdশরণার্থী শিবিরে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে তিনি প্রথমে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। তারপর সেখান থেকে সড়কপথে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে যান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী সেখানকার বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিরতণ করবেন। পাশাপাশি তাদের বিষয়ে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন।গত ২৫ সেপ্টেবর মিয়ানমারের কয়েকটি সেনা ও পুলিশের চৌকিতে রোহিঙ্গা ‘জঙ্গি’দের হামলার অভিযোগে আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন শুরু করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

হত্যা, ধর্ষণের পাশাপাশি গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।এই অবস্থায় গত দু’সপ্তাহে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের দেয়া তথ্যানুযায়ী আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি।
রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিন ধরে চলমান সংঘর্ষ-সহিংসতা সঙ্কট সমাধানে ২০১৬ সালের আগস্টে গঠিত হয় অ্যাডভাইজরি কমিশন অন রাখাইন স্টেট। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে ওই কমিশন এক বছরের তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চির কাছে জমা দেয় চলতি বছরের ২৪ আগস্ট।

৬৩ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন জমা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ২৪ আগস্ট দিবাগত রাতে ত্রিশটি পুলিশ ও সেনাচৌকিতে রহস্যজনক হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্য। তারপরই হামলার জন্য রোহিঙ্গা ‘জঙ্গি’দের দায়ী করে জবাব হিসেবে সেনাবাহিনী পুরো অঞ্চলে হত্যাযজ্ঞ শুরু করে।

সেনাবাহিনীর ওই হামলায় এখনও পর্যন্ত ৪শ’র বেশি মানুষ মারা গেছে, আর প্রাণভয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে বাংলাদেশে। নৌপথে পালিয়ে আসার পথে নৌকাডুবিতেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন না করার উদ্দেশ্যেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই হত্যাকাণ্ড শুরু করে।