• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নারীবান্ধব-শিশুবান্ধব ২২ নারী ট্রাফিক মাঠে নেমেছে


প্রকাশিত: ৫:৫৭ পিএম, ১৪ আগস্ট ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৯ বার

সাইফুল বারী মাসুম  :  রাজধানীতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নারীবান্ধব ও শিশুবান্ধব সেবার মান আরও বেগবান lady trafic-www.jatirkhantha.com.bdকরতে এবার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ২২ নারী সার্জেন্টকে মাঠে নামানো হয়েছে। রোববার ডিএমপি কমিশনার  মো. আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃংখলা ফেরাতে ২২ নারী সার্জেন্টকে স্কুটি দেয়া হয়েছে।

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ট্রাফিক পুলিশের মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীরা এখন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তাদের প্রতি আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ‘নারীদের কাজে লাগাতে হবে। জেন্ডার বৈষম্য থাকলে আমরা এগোতে পারব না। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব না।’

নারী সার্জেন্টরা রাস্তায় দাঁড়ানোয় ট্রাফিক ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন এসেছে জানিয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিকে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে, বিশৃংখলা কমেছে, সুশৃংখল হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে উল্টো পথে গাড়ি চলতে দেখা যায় না।’

ভবিষ্যতে আরও নারী সার্জেন্ট নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। এ সময় রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থায় শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করতে সবাইকে আইন মেনে চলারও আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।পরে ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোববার থেকে মহানগরীতে ট্রাফিক শৃংখলা নিয়ন্ত্রণে নারী সার্জেন্টরা স্কুটি ব্যবহার করবেন। ইতিমধ্যে তাদের এ বিষয়ে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ‘প্রাথমিক পর্যায়ে ২২ নারী সার্জেন্ট এ স্কুটি ব্যবহার করবেন এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। যেখানে নারী সার্জেন্ট প্রয়োজন পড়বে, সেখানে এই স্কুটি ব্যবহার করে নারী সার্জেন্টরা দ্রুত পৌঁছাতে পারবেন।’

এর মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নারীবান্ধব ও শিশুবান্ধব সেবার মান আরও বেগবান হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থায় স্কুটি ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্কুটি ব্যবহার শুরু হল বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০১৪ সালে পুলিশ বাহিনীতে নারী সার্জেন্ট নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ৪৬ জন প্রার্থীর মধ্যে থেকে ২৮ জনকে বেছে নেয়া হয়েছিল। রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের ২২ জন নিয়োগ পান ঢাকা মহানগর পুলিশে। আর হাইওয়ে পুলিশ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং খুলনা মেট্রোতে দু’জন করে নারী সার্জেন্ট দায়িত্ব পালন করছেন।