• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে সাত খুন- দড়ি ও বস্তা বিক্রেতার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি


প্রকাশিত: ১১:৩৪ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ১৪ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৯ বার

 

7-khunনারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:  নারায়ণগঞ্জে সাতজনকে খুনের পর লাশ ডুবিয়ে দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত বস্তা ও দড়ির দুই বিক্রেতা আজ বুধবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী সোনামিয়া বিপণিকেন্দ্র এলাকার দড়ি ও বস্তা ব্যবসায়ী আবদুল মতিন ও শাহজাহান সাজু।

আজ বিকেলে এ দুজন নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এইচ এম শফিকুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মণ্ডল।

মামুনুর রশিদ মণ্ডল বলেন, সাতজনকে খুনের পর লাশ ২৪টি ইট দিয়ে বেঁধে নদীতে ফেলতে যে রশি ও বস্তা ব্যবহৃত হয়েছিল, তা র‌্যাব সদস্যরা ওই দুই বিক্রেতার কাছ থেকে কিনেছিলেন বলে জবানবন্দিতে তাঁরা আদালতকে জানান। এ ছাড়া কারা এসব দড়ি ও বস্তা কিনেছে, তাও জানান তাঁরা।

এ নিয়ে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া র‌্যাব-১১-এর সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ১১ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর ঘটনার সাক্ষী হিসেবে আদালতে র‌্যাবের নয় সদস্যসহ ১৪ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে একে একে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ওরফে বিউটি ও চন্দন সরকারের মেয়ের জামাই বিজয় কুমার পাল ফতুল্লা মডেল থানায় আলাদা দুটি মামলা করেন।