• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নরবড়ে নিরাপত্তা-টিকিট ভিসা ছাড়া থাইএয়ারে গোপালগঞ্জের দারোগা’


প্রকাশিত: ৯:৫৫ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৮ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১৯ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  গোপালগঞ্জের নাম ভাঙ্গিয়ে পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই থাই এয়ারের একটি ফ্লাইটের সিটে বসে পড়েছিল পুলিশের এসআই আশিকুর _thai air-www.jatirkhantha.com.bdরহমান। হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরের সকল নিরাপত্তাবেষ্টনি কে থোরাই কেয়ার করে এসআই আশিকুরের থাই এয়ারে উঠে পড়া নিয়ে তোলপাড় চলছে। বলা বাহুল্য ঘটনাটি যখন ঘটলো তখন ১০ শর্তে প্রায় দুই বছর পর আজ রোববার বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে সরাসরি কার্গো পরিবহনের অনুমতি মিলেছে। এ ঘটনা ওই অনুমতি’র প্রেক্ষাপটে যেন বাঁধা না হয়ে দারায় সে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে সংশ্লিষ্ঠদের।

তবে ঘটনাটি সিভিল এভিয়েশন অথরিটির হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দর নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষের একটি বড় ব্যর্থতা বলে গোয়েন্দারা চিহ্নিত করেছেন। এ সম্পর্কে হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দর এর পরিচালক কাজী ইকবাল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠ এর সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

শাহজালাল সূত্র জানায়, গোপালগঞ্জের ওই দারোগা কথিত এক আত্মীয়কে এগিয়ে দিতে পুলিশের পোশাক পরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককগামী থাই এয়ারওয়েজের বিমানে উঠে বসেছিলেন। পুলিশের ওই এসআই এর পুরো নাম আশিকুর রহমান। ঘটনাটি ধরা পড়লে ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’ রয়েছে বলে থাই এয়ারওয়েজের পাইলট বিমান চালাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ওই পাইলটকে নানাভাবে বসে এনে এক ঘণ্টা দেরিতে উড়োজাহাজটি আকাশে ওড়ে।

১৭ ফেব্রুয়ারী শনিবার দিবাগত রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। ব্যাংককগামী টিজি-৩৪০ উড়োজাহাজটির শনিবার রাত দুইটার সময় ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। পরে সিভিল অ্যাভিয়েশন ও শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে রাত তিনটার দিকে উড়োজাহাজটি এক ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা ছাড়ে।

আলোচিত এসআই আশিকুর রহমান ঢাকা রেঞ্জে কর্মরত। সম্প্রতি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) বদলি হয়েছেন। তাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জ বলে তিনি বিমানবন্দরের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে পুলিশ ও বিমানবন্দরে নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থা নানাভাবে চেষ্টা করে গেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, শনিবার রাতে রেঞ্জ পুলিশের নীল ইউনিফরম পরে এসআই আশিকুর রহমান বিমানবন্দরে ঢোকেন। কর্মকর্তারা তাঁকে আটকালে তদন্তের প্রয়োজনে ভেতরে যাওয়া প্রয়োজন বলে তিনি গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করে ভেতরে ঢুকে যান। পরে তাঁকে আবিষ্কার করা হয় থাই এয়ারওয়েজের ভেতরে। বিমানটি তখন উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এ সময় বিমানে তাঁর বেআইনি অবস্থান শনাক্ত হলে বিমানকর্মীরা তাঁকে নামিয়ে আর্মড পুলিশের হেফাজতে দেন। বিমানটির উড্ডয়ন বাতিল করা হয়। ভ্রমণের ন্যূনতম কাগজপত্র ছাড়া বিমানে কারও উঠে বসার পরে নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখিয়ে বিমান চালাতে অস্বীকৃতি জানান ক্যাপ্টেন।এরপরে সিভিল এভিয়েশন ও বিমানবন্দরের লোকজন বিমানটির ক্যাপ্টেনের সঙ্গে দেনদরবারের পরে তিনি বিমান নিয়ে আকাশে ওড়েন।

আটকের পর ওই এসআই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেন, তিনি তাঁর মামিকে এগিয়ে দিতে বিমানের ভেতরে গিয়েছিলেন।এদিকে এ ঘটনায় চরম বিব্রত হয়েছেন বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা। অনেকেই এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। কেউ কেউ বিষয়টিকে গণমাধ্যমে না আনার কথা বলেছেন। তবে বিষয়টি যে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘন, তা সবাই স্বীকার করেছেন। সাধারণত বিমানবন্দরের এমন জায়গায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, তল্লাশি ছাড়া কারোরই ঢোকার কথা নয়।

এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানায় কিছু জানানো হয়নি বলে অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠ কে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া। তিনি বলেন, আমাদের কিছু জানানো হয়নি, আর পুলিশের কোনো লোককে থানা হেফাজতে রাখাও হয়নি।বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা রাশিদা সুলতানা অনলাইন দৈনিক জাতিরকন্ঠ কে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও বিস্তারিত জানাতে পারেননি। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, আটক আশিকুরকে দুপুরে ঢাকা রেঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।