• শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪

নবযুগে ওয়ালটন-এবার স্মার্টফোন বানাবে


প্রকাশিত: ৮:১১ পিএম, ৫ অক্টোবর ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৩ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  বছরে ২৫ থেকে ৩০ লাখ ইউনিট হ্যান্ডসেট উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশি কোম্পানি ওয়ালটনের স্মার্টফোন Walton-phone-industry-www.jatirkhantha.com.bdকারখানা। বৃহস্পতিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের এই স্মার্টফোন কারখানা উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,“দেশের জন্য আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এই কারখানা উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হল।”বাংলাদেশেই মোবাইল ফোন উৎপাদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের কথা তুলে ধরেন তারানা।

“আজ সেই স্বপ্ন পূরণের সাথী হল ওয়ালটন। সেই সঙ্গে মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী দেশের তালিকায় নাম লেখালো বাংলাদেশ।”ওয়ালটনের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানসম্পন্ন হ্যান্ডসেট তৈরির ক্ষেত্রে বিটিআরসি যে সব মানদণ্ড রয়েছে তা পূরণ করেই স্মার্টফোন কারখানা স্থাপন করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। “তারা প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে যাবার দৃঢ় প্রত্যয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত। এখন আমাদের দায়িত্ব তাদের অগ্রযাত্রাকে মসৃণ করা।”বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর তুলনায় প্রতিযোগতার সক্ষমতায় দেশে তৈরি ওয়ালটন স্মার্টফোন এগিয়ে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তারানা।

সাশ্রয়ী মূল্যে এবং কিস্তিতে মানুষের হাতে স্মার্টফোন পৌঁছে দিতে ওয়ালটনকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মোবাইল হ্যান্ডসেটের জন্য এতদিন বিদেশের উপর নির্ভর করতে হত। প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও এ খাতে দেশীয় শিল্পের বিকাশ মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল। ওয়ালটন স্মার্টফোন কারখানা স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটল।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের বাজারেও বাংলাদেশে তৈরি মোবাইল হ্যান্ডসেট যাবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী।সকালে ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্সে পৌঁছলে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মঞ্জুরুল আলম।প্রতিমন্ত্রী ওয়ালটন স্মার্টফোন কারখানার প্রোডাকশন লাইন, পিসিবি (প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড) বা মাদারবোর্ড তৈরির এসএমটি (সার্ফেস মাউন্টিং টেকনোলজী) সিস্টেম, হ্যান্ডসেটের ডিজাইন ডেভেলপ বিভাগ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাব ঘুরে দেখেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।এখানে রয়েছে হ্যান্ডসেটের ডিজাইন ডেভেলপ, গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ, মাননিয়ন্ত্রণ বিভাগ ও টেস্টিং ল্যাব। স্থাপন করা হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক জাপান ও জার্মান প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি। কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় এক হাজার লোকের।

প্রাথমিকভাবে এখানে উৎপাদন হবে বার্ষিক ২৫ থেকে ৩০ লাখ ইউনিট হ্যান্ডসেট। স্থাপন করা হয়েছে ছয়টি প্রোডাকশন লাইন। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরো ১০টি প্রোডাকশন লাইন স্থাপনের কাজ। দেশী-বিদেশি প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একটি শক্তিশালী পণ্য উন্নয়ন ও গবেষণা বিভাগ এবং টেস্টিং ল্যাব। রয়েছে শক্তিশালী মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। যেখানে উৎপাদিত হ্যান্ডসেটের উচ্চ গুণগতমান কঠোরভাবে নিশ্চিত করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান, সিরাজুল ইসলাম, আলমগীর আলম সরকার, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর এস এম রেজওয়ান আলম ও উদয় হাকিম, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ফিরোজ আলম ও জাহিদ আলম, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস।