• বুধবার , ২৪ এপ্রিল ২০২৪

দুর্গোৎসবে নিরাপত্তা-৩ দিন ছুটি দাবি


প্রকাশিত: ৯:২৮ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩২ বার

 

স্টাফ রিপোর্টার :  আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবে দেশের বিভিন্ন মণ্ডপে জঙ্গি হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গিবিরোধী hindu-mohajot-www.jatirkhgantha.com.bdঅভিযানের প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের এ দাবি জানান হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব পলাশ কান্তি দে।

তিনি বলেন, সারা দেশে একের পর এক জঙ্গি হামলা হয়ে গেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জঙ্গিরা দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপগুলো টার্গেট করতে পারে। আমরা আশঙ্কায় রয়েছি। এমন বাস্তবতায় দুর্গাপূজা শুরুর আগে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানান হিন্দু মহাজোটের সভাপতি সভাপতি প্রভাষ চন্দ্র।

গাজীপুর, সাতক্ষীরা, মানিকগঞ্জ, দিনাজপুর, বরগুনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মন্দির, মন্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের কথা জানিয়ে প্রভাষ বলেন, এবার বিভিন্ন জায়গা থেকে পূজারিরা বলছেন, তারা পূজা করবেন না। এভাবে চলতে থাকলে দেশে পূজার সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকবে।

হিন্দু সম্প্রদায় সাম্প্রদায়িকতা ও রাজনীতির ‘বলি’ হচ্ছে এমন অভিযোগ এনে সংখ্যালঘু নির্যাতনের নেপথ্যে দায়ীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান পলাশ কান্তি। পরে হিন্দু মহজোট নেতারা দুর্গাপূজায় তিনদিনের সরকারি ছুটিরও দাবি জানান।

জাতীয় প্রেসক্লাবে মানবন্ধন
আসন্ন দুর্গাপূজাসহ পরবর্তী বছরগুলোতেও ৩ দিনের সরকারী ছুটির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোট। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তারা এই দাবি জানান। বর্তমানে দুর্গাপূজায় এক দিনের ছুটির বিধান আছে।

সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু ছাত্র মহাজোটের দফতর সম্পাদক হরেকৃষ্ণ বলেন, দুর্গাপূজা হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। কিন্তু দুঃখজনক এই যে দুর্গাপূজায় ৫ দিনের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা থাকলেও সরকারিভাবে মাত্র একদিনের ছুটি দেয়া হয়। এতে কারো পক্ষেই পরিবারের সঙ্গে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণ করা ও উৎসব আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ হয় না। তাই আমরা এ বছর থেকেই ৩ দিন সরকারী ছুটি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাই।

সমাবেশে বক্তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদ ও পাঠ্যপুস্তক সংশোধনের দাবি জানান। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র মহাজোটের সভাপতি নিহার প্রামাণিক, হিন্দু মহাজোটের প্রধান উপদেষ্টা ঝুমুর গাঙ্গুলী, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট দিনবন্ধু রায়সহ আরও অনেকে।