• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

দুধের শিশুকে ঘরে ফেলে মায়ের অভিসারের পর..


প্রকাশিত: ১২:৫৮ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৮ বার

ডেস্ক রিপোর্টার  :  দুধের শিশুকে ঘরে ফেলে প্রেমিকের সঙ্গে সময় কাটাতে চলে গেছে মা। ফলে যা হবার তাই হলো..। ছয় দিনের অভিসারের 1পর মা যখন বাসায় ফিরল তখন শিশু না ফেরার দেশে..। ছয় দিন বন্দী ঘরে খাবার অভাবে মৃত্যু হয়েছে ছোট্ট সন্তানের। আর ছোট ভাইয়ের সেই মৃতদেহের পাশে আরও তিন দিন না খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছে দু বছর বয়সী বোন। তার জীবনও সংশয়ের পথে। আর এই নয় দিন সন্তানদের কথা বেমালুম ভুলে প্রেমিকের সঙ্গে একান্ত সময় কাটিয়েছেন মা ভ্লাদিস্লাভা পোডচাপকো। ঘটনাটি ঘটেছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে।

গতকাল বুধবার দ্য সান অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ বছর বয়সী মা ভ্লাদিস্লাভার দুই সন্তান। ছোট ছেলে দানিল ও দু বছর বয়সী মেয়ে অ্যানা। এর মাঝে তিনি অন্য একজনের প্রেমে পড়ে যান। তাঁর সঙ্গে প্রায়ই সময় কাটান তিনি। ওই প্রেমিকের সন্তানের মাও হতে যাচ্ছেন তিনি।

সম্প্রতি তিনি প্রেমিকের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাতে যান। এ সময় ভ্লাদিস্লাভা তাঁর দুই সন্তানকে কিয়েভের ফ্ল্যাটে একা তালাবন্দী করে রাখেন। দানিল ও অ্যানার জন্য কোনো খাবারের ব্যবস্থা ওই বাসায় ছিল না। যাওয়ার আগে তাদের কয়েকটি মোমবাতি দিয়েছিলেন এই

মা। এভাবে টানা ছয় দিন বন্ধ থাকায়, খাবারের অভাবে মৃত্যু হয় দানিলের। তখনো ফিরে আসেননি মা। এই অবস্থায় ভাই দানিলের মৃতদেহের পাশে না খেয়ে আরও তিন দিন কাটাতে হয় একরত্তি শিশু অ্যানাকে। নয় দিন পর মা ভ্লাদিস্লাভা ফিরে আসেন, আসে পুলিশও। পরে ঘর থেকে দানিলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এবং অ্যানাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।2

অ্যানার চিকিৎসক বলেন, তার জীবন সংশয়ের পথে ছিল। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এখন সে খুব দুর্বল। তাকে আস্তে আস্তে ভারী খাবার দেওয়া হচ্ছে।ভাই দানিলের সঙ্গে খেলছে বোন অ্যানা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দানিল ও অ্যানা বন্দী বাসা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। প্রতিবেশীরা সকাল ও বিকেলে তাদের

চিৎকার ও কান্নার শব্দ পেতেন। তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ সাড়া দেয়নি। শেষমেশ নয় দিন পর মা ফিরে এলে, তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ মা ভ্লাদিস্লাভাকে গ্রেপ্তার করে। পরে সন্তানদের অবহেলা করার দায়ে তাঁকে আট বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

পুলিশের প্রশ্নের মুখে মা ভ্লাদিস্লাভা বলেছেন, ‘আমি জানি না, বাচ্চা এভাবে মরে যেতে পারে।’এই বাস্তবতার সঙ্গে ভ্লাদিস্লাভার পারিবারিক ছবির কোনো মিল নেই। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজের পরিবারের অসংখ্য ছবি শেয়ার করেছেন ভ্লাদিস্লাভা। সেসব ছবিতে বাচ্চাদের সঙ্গে তাঁর মায়ের ভালোবাসা ও স্নেহ লক্ষ্য করা যায়।

ইউক্রেনের শিশু অধিকার প্রতিনিধি নিকোলাই কুলেবা বলেন, সম্প্রতি ওই মা তাঁর সন্তানকে কোনো সমস্যার কারণে কিন্ডারগার্টেন থেকে একেবারে নিয়ে এসেছেন।তবে ভ্লাদিস্লাভার কোনো অর্থনৈতিক সমস্যা ছিল না বলে জানা গেছে।একটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যানাকে আপাতত কোনো এতিমখানায় পাঠানো হবে বা দত্তক দেওয়া হতে পারে। তবে তার বাবা চাইলে তাকে নিয়ে যেতে পারেন।