• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

‘থাকার ব্যবস্থা হলে’ই রোহিঙ্গারা যাবে’


প্রকাশিত: ১:১৯ পিএম, ২৫ নভেম্বর ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮০ বার

কূটনৈতিক রিপোর্টার :  আগামী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা ও সমঝোতা হয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে ?????????????????????????????????????????????????????????????????চেয়েছে, রাখাইনে থাকার ব্যবস্থা হলে রোহিঙ্গারা চলে যাবে। বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। শনিবার সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে। সেখানে খুঁটি-নাটি, ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। সেটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। মূল কথা হলো, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও তা কতদিনে শেষ হবে সে বিষয়ে চুক্তিতে কোন কিছু উল্লেখ নেই।

মন্ত্রী আরো বলেন, মিয়ানমারের সাথে যে চুক্তিটি হয়েছে এটা রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে পাঠানোর প্রথম পদক্ষেপ। এরপর আরো পদক্ষেপ আছে। সেগুলোর কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। তাদের ফেরত পাঠানোর কাজে কোনো জটিলতা দেখা দিলে আমরা তাদের সাথে আবার আলোচনায় বসব।পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, রাখাইন যেহেতু এখন মানুষ বসবাসের উপযোগী নয়। এখন সেটাকে উপযোগী করে তৈরি করতে হবে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রাখাইন রাজ্যের জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে। মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহযোগিতা করতে ভারত ও চীন সম্মত হয়েছে।উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি চেকপোস্টে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। এ ঘটনার জের ধরে দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।