• শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

তারেক মাসুদ কি পাবে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ


প্রকাশিত: ৪:৪৭ পিএম, ১৭ নভেম্বর ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১১০ বার

কোর্ট রিপোর্টার  :  চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুতে প্রায় দশ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে তার স্ত্রীর করা tarek-misuk-মামলার শুনানি হাইকোর্টে শেষ হয়েছে। আগামী ২৯ নভেম্বর রায় ঘোষণা করবে আদালত। বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের শুনানি গ্রহণ করে রায় ঘোষণার উক্ত দিন ধার্য্য করে দেন।

এদিকে এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীরের মৃত্যুতে তার স্ত্রী কানিজ এফ কাজীর করা আরেকটি ক্ষতিপূরণ মামলার বিচার চলছে হাইকোর্টের একই ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী ৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য্য রেখেছে আদালত।

২০১১ সালের ১৩ আগষ্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তারেক মাসুদ এবং মিশুক মুনীর। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সংঘর্ষ ঘটে। তাতে তারেক-মিশুকসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহীর মৃত্যু হয়। আহত হয় আরো কয়েকজন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। পরে ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্ররুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জে মোটরযান অর্ডিন্যান্সের ১২৮ ধারায় বাসমালিক, চালক ও ইনস্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানিকগঞ্জ জেলা জজ ও মোটর কেইমস ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা করেন।

এরপর মোকদ্দমা দুটি জনস্বার্থে হাইকোর্টে বিচারের জন্য সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে আবেদন করা হয়। ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের ডিভিশন বেঞ্চ এক রায়ে মোকদ্দমা দুটি হাইকোর্টে বিচারের পক্ষে মত দেন। এজন্য উপযুক্ত বেঞ্চ গঠন বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধান বিচারপতির কাছে মামলা দুটির নথি ও আদালত বদলির আবেদনের নথি পাঠানো হয়।

পরে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিচারপতি জিনাত আরার নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান। ওই বেঞ্চে এই মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। মামলায় ক্যাথরিন মাসুদের পক্ষে ৭ জন, বাস মালিকের পক্ষে ৫ জন এবং ইন্সুরেন্স কোম্পানির পক্ষে একজন হাইকোর্টে স্বাক্ষ্য দেন।

আদালতে ক্যাথরিনের পক্ষে ড. কামাল হোসেন ও সারা হোসেন, বাস মালিকের পক্ষে আব্দুস সোবহান তরফদার ও রিলায়েন্স ইন্সুরেন্সের পক্ষে ইমরান এ সিদ্দিকী ও এহসান এ সিদ্দিকী শুনানি করেন।