• বৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকা মেডিকেলে নবজাতক চোরচক্রের নেটওয়ার্ক ফাঁস


প্রকাশিত: ২:২৯ পিএম, ২৮ আগস্ট ১৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯১ বার

 

 

 

 

 

বিশেষ প্রতিবেদক,ঢাকা: mother
র‌্যাবের গোয়েন্দা জালে অবশেষে ধরা পড়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক চোর সিন্ডিকেট।এই চোরচক্রের নেটওয়ার্ক উদঘাটন করে র‌্যাব পাকরাও করেছে দুই নবজাতক চোরকেও।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এডিজি) কর্নেল জিয়াউল আহসান  জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে গাজীপুর বোর্ডবাজারের উত্তর কলমেশ্বর এলাকার বটতলা রোডে বেলি আক্তার ওরফে রহিমা নামে ৪৫ বছর বয়সী এক নারীর বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

রহিমা বলেছেন, রাশেদা খানম পারভীন (৪৮) নামের এক ধাত্রী হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে চুরি করেন। তারপর ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে তার হাতে তুলে দেন।তাদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে র‌্যাব কর্মকর্তা জানান ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ড থেকে ২১ আগস্ট ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিজলী মহল্লার বাসিন্দা কাওছার হোসেন ও রুনা আক্তার দম্পতির নবজাতক যমজের একটি চুরি যায়।

এক সপ্তাহ পর গতকাল বুধবার রাতে গাজীপুর সদর উপজেলার বোর্ড বাজারের উত্তর কলমেশ্বর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে র‌্যাব। শিশুটির মা রুনা আক্তার ও বাবা কাওছার হোসেন, বড় ছেলের নাম রাখা হয়েছে ইয়াসিন হোসেন। ছোটটির (উদ্ধার হওয়া) নাম রাখা হয়েছে এখলাস হোসেন। নাম দুটো তাঁরা স্বপ্নে পেয়েছেন।

মা জানালেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল, স্বপ্নে যেহেতু দুই বাচ্চার নাম পেয়েছি, তাদের দুজনকেই কোলে পাব।’ তবে অন্য মায়েদের প্রতি আকুতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মতো ভুল যেন অন্য মায়েরা না করেন।’

র‌্যাবের ভাষ্য, গাজীপুর সদর উপজেলার বোর্ড বাজারের উত্তর কলমেশ্বর এলাকায় বেলি আক্তার ওরফে রহিমার (৪৫) কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। রহিমার দাবি, রাশেদা খানম ওরফে পারভীন (৪৮) নামের এক ধাত্রীর কাছ থেকে শিশুটিকে নিয়েছেন তিনি। এ জন্য পারভীনকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা দিয়েছেন। এই দুই নারীকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সন্তান চুরির ঘটনা সম্পর্কে রুনা আক্তার বলেন, ভর্তি হওয়ার দিন থেকে রাশেদা আমার সঙ্গে সম্পর্ক গdmc+cctvড়ে তোলে। রাশেদা বলেছিলেন, তাঁর ভাইয়ের তিনটি বাচ্চা হয়েছে। ১৫ দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। বাচ্চা হওয়ার পর বাচ্চা কোলে নিয়ে হাঁটাহাঁটি করতেন রাশেদা। একপর্যায়ে এক সন্তানকে চুরি করে তিনি পালিয়ে যান। শিশুটির মা রাশেদা খানমের বিচার দাবি করেছেন।বাবা কাওছার হোসেন র‌্যাব ও গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তাঁর এক ছেলেকে সাংবাদিক ও আরেক ছেলেকে র‌্যাব বানাবেন।