• শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জমি জালিয়াত জাহিদুল পাকরাও


প্রকাশিত: ৩:৫৪ পিএম, ৩ আগস্ট ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৪ বার

বিশেষ প্রতিনিধি  :  ঢাকায় জমি জালিয়াত জাহিদুল অবশেষে পাকরাও হয়েছে। পুলিশ বলেছে, মালিক সেজে জালিয়াতির মাধ্যমে সে land criminal-jahidul-www.jatirkhantha.com.bdঅন্যের জমি বিক্রি করে ৯০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। বুধবার ভোরে সাভারের হেমায়েতপুরের নতুনপাড়া থেকে জাহিদুল ইসলাম ওরফে জালিশ সরদারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অতিরিক্ত সুপার মো. বশির আহমেদ।

তিনি বলেন, জাহিদুল ২০১৩ সালে নিজেকে লুৎফর রহমান পরিচয় দিয়ে খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া এলাকার একটি তিন কাঠার প্লট বিক্রির জন্য দুই ব্যক্তির সঙ্গে ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার একটি চুক্তি করেন। গোলাম মওলা ও মো. মাঈনুদ্দিন নামে ওই দুজনের কাছ থেকে ৯০ লাখ টাকা প্রাথমিকভাবে নিয়ে তেজগাঁও রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বায়না দলিল করেন জাহিদুল।

এরপর নিজেদের ক্রেতা হিসেবে উল্লেখ করে ওই জায়গায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন ক্রেতারা। কিন্তু কিছুদিন পর সেখানে গিয়ে গোলাম মাওলা ও মো. মাঈনুদ্দিন কোনো সাইনবোর্ড দেখতে না পেয়ে জাহিদুলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তা বন্ধ পান।

বেশ কয়েক দিন চেষ্টার পরও জাহিদুলের হদিস না পাওয়ায় ওই দুই ক্রেতা নিজেদের প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বশির বলেন, এ ঘটনায় গোলাম মাওলা বাদী হয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর একটি মামলা করেন।

মামলায় লুৎফর রহমান, লিটন, শান্ত, শাহজাহান ও জামাল নামে পাঁচজনকে আসামি করা হয়।পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্তের পর আসামিদের মধ্যে শাহজাহান ও জামালসহ এজাহারের বাইরে আরও দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এজাহারের প্রথম তিন আসামি লুৎফর রহমান, লিটন ও শান্তর সঠিক ঠিকানা না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে তাদের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেয় সিআইডি।

কিন্তু বাদী ওই অভিযোগপত্রের ব্যাপারে নারাজি আবেদন জানালে গত বছর আদালত পিবিআইকে মামলাটি নতুন করে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।পিবিআই কর্মকর্তা বশির আহমেদ বলেন, প্রায় এক বছর তদন্তের পর প্রকৃত আসামিকে চিহ্নিত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল তার প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তার।